দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ রোগ ভোগের পর মারা গেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নানডেজ। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি।
১৯৩০ সালের তেসরা জুন কর্নাটকের মাঙ্গালুরুতে ক্যাথলিক পরিবারে জন্ম বাজপেয়ী আমলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নানডেজের। তাঁর বাবা জন জোসেফ ফার্নানডেজ ছিলেন একটি বিমা কোম্পানির অফিসার। মা অ্যালিস মার্থা ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জের অনুরাগী ছিলেন। সেজন্যই নিজের ছয় সন্তানের মধ্যে প্রথম সন্তানের নাম রেখেছিলেন তাঁর নামে। ১৯৪৮ সালে জর্জের বাবা, মা তাঁকে বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়েছিলেন যাজক হিসেবে প্রশিক্ষম নিতে। তেহলকা স্টিং অপারেশনের সময় বারাক মিসাইল কেনায় আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল ফার্নানডেজের। ২০০৪ সালে এনডিএ–র হারের পর নীতীশকুমারের সঙ্গে যৌথভাবে সমতা পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০০৯ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন। ২০১০ সালে তাঁর অ্যালঝাইমার্স এবং পার্কিনসন্‌স রোগ ধরা পরে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে রাজনীতির আঙিনা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ফার্নানডেজ।

তাঁর স্ত্রী লীলা ফার্নানডেজ প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হুমায়ুন কবিরের মেয়ে। ১৯৭১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮০ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। তাঁদের একমাত্র ছেলে শন ফার্নানডেজ নিউ ইয়র্কের একটি বিনিয়োগকারী সংস্থার ম্যানেজার। ইংরেজি, তামিল, কোঙ্কনি সহ মোট ১০টি ভাষায় পারদর্শী ফার্নানডেজের সঙ্গে ১৯৮৪ সাল থেকেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে নাম জড়িয়েছিল জয়া জেটলির। ২০১০ সালে তাঁর অসুস্থতার পর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর ভাইরা বৌদি এবং ভাইপোর বিরুদ্ধে দাদাকে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করেছিলেন। এরপর ওই বছরেরই জুলাইয়ে দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশে স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন জর্জ। তবে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত দেখা করার অনুমতি ছিল তাঁর ভাইদের। প্রাক্তন মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির মন্ত্রী সহ রাজনৈতিক নেতারা এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here