দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল লোকসভায় পাস হতে না হতেই তৃণমূল ও মতুয়া মহাসংঘের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসে গেল। সোমবার মধ্যরাতে পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আর মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের নামে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থানে হাজির ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

যদিও এই অবস্থানের সঙ্গে মতুয়া মহাসংঘের আদৌ কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট দাবি জানালেন সংঘাধিপতি তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এদিকে, সংবাদমাধ্যমের কাছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, “মমতাবালা ঠাকুর অসুস্থ। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আগামিকাল তিনি এখানে হাজির থাকবেন।”

নাগরিকত্বের দাবি মতুয়া মহাসঙ্ঘের দীর্ঘ দিনের। এই দাবিতে মতুয়ারা সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভও করেছেন একাধিকবার। সেই সব সভায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা হাজিরও থেকেছেন। কিন্তু এবার তৃণমূল প্রভাবিত মতুয়া মহাসংঘের মধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সংগঠনের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। অনেক দিন ধরেই জল্পনা যে, সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘে এখন সমান্তরাল দু’টি বিভাজন। একটি সংগঠনের মাথায় রয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর অন্যটির শীর্ষে প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এখন সেটাই প্রকাশ্যে এসে গেল।

মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে বসে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর কলকাতায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নেতৃত্বে হওয়া মতুয়াদের অবস্থান নিয়ে বলেন, এটা সব থেকে ভাল বলতে পারবেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গতকাল বিকেলে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফোন করে বলেছিলেন, আমরা ধর্নায় বসছি। আমাকে যেতে বলেলে আমি বলেছিলাম, আমার শরীর খারাপ, আমি যেতে পারব না। এরপরে বলেছিলেন, কয়েকজন মতুয়াদের পাঠানোর জন্য। তবে মতুয়া মহাসঙ্ঘের সম্পাদক বা সভাপতি, আমরা কেউই এই ধর্নার কথা জানি না। কী করছে তা দল বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।

কিন্তু নাগরি‌কত্ব বিল নিয়ে মতুয়া মহাসঙ্ঘের অবস্থান কী? তা অবশ্য স্পষ্ট নয় মমতাবালা ঠাকুরের বক্তব্যে। তিনি বলেন, “আমরা বিরোধিতা করেছিলাম, করব। জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আমাদের দাবি। রাজ্যসভায় বিল পাশের আগে এখনও আশাবাদী নই। রাজ্যসভায় বিল পাশ হলে দেখব, নিঃশর্ত হলে আমরা সমর্থনের কথা ভাবব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here