দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন জেডিইউ ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা পলিটিকাল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সমর্থন দেওয়ায় দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। শুধু নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করাই নয়, সেই বিল নীতীশ কুমার সম্মতি দেওয়াতেও যে তিনি ক্ষুব্ধ তা স্পষ্ট করলেন। টুইটারে তিনি জানিয়েছেন, ধর্মের ভিত্তিতে তৈরী যে বিল নাগরিকত্বের অধিকারে বৈষম্য তৈরি করে তা সমর্থন করায় জেডিইউ-র উপরে তিনি আশাহত।

শুধু তাই নয়, তিনি বলেছেন, জেডিইউয়ের সংবিধানের প্রথম পাতাতেই তিন বার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা রয়েছে। সেটা ভুলে গিয়ে ওই গান্ধীবাদী গাইডলাইনের পরেও দলের নেতারা এই কাজ করলেন।


গতকাল মধ্যরাতে লোকসভায় পাস হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশের মুসলিমদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের অত্যাচারিত হিন্দুদের রক্ষা করার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে।

বিরোধীদের প্রচারে দেশের মানুষদের মধ্যে কিছুটা ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। দেশের মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই, নরেন্দ্র মোদ‌ীর নেতৃত্বে এই দেশে বসবাসকারী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের ভয়ের কোনও কারণ নেই। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন অনুযায়ী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরকিত্ব দেওয়ার জন্য এই বিল।


এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। সেই দিক থেকে প্রশান্ত কিশোরের গলায় শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসেরই সুর। সোমবার সংসদে নাগরিকত্ব বিল পেশের বক্তৃতা শেষ হয়েছে কি হয়নি,

খড়্গপুরের সরকারি সভা থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চড়া সুরে আক্রমণ শানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোজাসুজি বলেন, “আসুন জোট বাঁধি। একটা লোককেও দেশ ছাড়া হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এনআরসি আর নাগরিকত্ব সংশোধন বিল—দুটোই কয়েনের এপিঠ-ওপিঠ। কিন্তু আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা থাকতে কারও ক্ষমতা নেই কাউকে ওরা দেশ ছাড়া করবে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here