দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয় নবান্নের পাশেই উদ্বোধন হল নব প্রশাসনিক ভবন ’উপান্ন’এর। বুধবার এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ভবনে মূলত মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের গ্রিভান্স সেল চলে এল। আগে এটি ছিল আলিপুরে ‘উত্তীর্ণ’এ। এই ভবনে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব এবং মুখ্যসচিবের কক্ষ থাকবে। থাকবে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমও।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ সব দপ্তরের কথা গ্রিভান্স সেলে জানান। গত ১ বছরে ৭ লক্ষ ৮৯ হাজার ‘গ্রিভান্স’ এসেছিল। তার ৯৩ শতাংশই দ্রুত সমাধান করে ফেলা হয়েছে। যে ৫৪ হাজার গ্রিভান্স রয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দ্রুত মেটানোর জন্য সব দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এত দ্রুত এত সমস্যার সমাধান করে ফেলার মতো সন্তুষ্টি আর কিছুতে পাওয়া যায় না। এতে মানুষেরও আস্থা বাড়ে। তাঁরাও মনে করতে পারেন, কথা জানানোর জায়গা রয়েছে। তাঁদের সব সমস্যার সমাধানই সম্ভব। মানুষের এই আস্থাটাই আমাদের পাথেয়।’
২০১৯ সালের জুন মাসে ওই সেলের কাজ শুরু হয়। সেখানে যোগাযোগের টোল ফ্রি নম্বর হল– ১৮০০৩৪৫৮২৪৪। অন্যদিকে, ৯০৭৩৩০০৫২৪— এই নম্বরে এসএমএস, wbcmro@gmail.com— এখানে ইমেল করা যেতে পারে।
নবান্ন এবং উপান্ন সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক, কর্মীদের অভিনন্দন জানান। তাঁদের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলহাটের জন্য এই বাড়ি তৈরি হয়েছিল। সেটি পড়ে ছিল। পূর্ত দপ্তর খুব দ্রুত সেই বাড়িকে প্রশাসনিক ভবন হিসেবে গড়ে তুলেছে। আজ উপান্নর জন্মদিন। উপান্ন নবান্নের মতো এগিয়ে চলুক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আসার পর উত্তীর্ণ, ধনধান্যে, সৌজন্য তৈরি করা হয়েছে।
আজ বৈঠক করার জন্য অন্য কোথাও যেতে হয় না। নবান্ন সভাঘর তৈরি করা হয়েছে। এত সুন্দর প্রশাসনিক কেন্দ্র আমি কোথাও দেখিনি। আমরা সব সময় কাজ করি। সর্ব ধর্ম সমন্বয় রেখে একসঙ্গে কাজ করি। উপান্নের সঙ্গেও একটা একটা অন্ন, শস্যের সম্পর্ক রয়েছে। এদিন তাই কৃষি সংক্রান্ত বৈঠক করেছি। এই বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সব সচিব, আধিকারিকরা ছিলেন। ছিলেন ডিজি বীরেন্দ্র, কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা, এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিং, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের প্রতিনিধিরাও।
আমরা সব সময় কাজের সঙ্গেই থাকি। রাজ্য জুড়ে যেমন গঙ্গাসাগর নতুন করে তৈরি হয়েছে, তেমন তৈরি করা হয়েছে ভোরের আলো, সুন্দরবন উৎকর্ষ কেন্দ্রে ঐরি হয়েছে টাইগার প্রজেক্ট, দক্ষিণেশ্বরে তৈরি হয়েছে স্কাইওয়াক।