দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাণে মারার হুমকি। মুম্বইয়ে উদ্ধব ঠাকরের বাড়ি মাতোশ্রী উড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও এসেছে ফোন। জানা গিয়েছে, দুবাই থেকে এই ফোন আসে। খোদ দাউদ ইব্রাহিম দুবাই থেকে কথা বলছে বলে জানানো হয়। এর পরেই মুম্বইতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তাও কড়া নজরে রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রায় উদ্ধব ঠাকরের বাসভবন মাতোশ্রী-র ল্যান্ডলাইনে ফোন আসে। রাত ১১ থেকে ১২ টার মধ্যে বেশ কয়েকবার ফোন করে হুমিক দেওয়া হয়। ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি জানায়, তার নাম দাউদ ইব্রাহিম এবং সে দুবাই থেকে ফোন করছে। ফোনে উদ্ধব ঠাকরেকে প্রাণে মারার পাশাপাশি তাঁর বাড়ি উড়িয়ে দেওয়ারও হুমিক দেওয়া হয়।

ওই ফোন কলগুলি সত্যিই দুবাই থেকে এসেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি এই হুমকির সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ২০১৯ সালে কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সমর্থনে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী হন। ওই পরিবারের কেউ আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হননি। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে যে উড়ো ফোন আসে তাতে নাকি এমনটা বলা হয়েছে যে, উদ্ধব যেভাবে রাজ্য পরিচালনা করছেন তা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি অবিলম্বে নিজেকে শুধরে না নিলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। উড়িয়ে দেওয়া হবে বাসভবন মাতোশ্রী।

দুবাই না করাচি, দাউদ ইব্রাহিমের ঠিকানা নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে। ১৯৯৩ সালে বম্বে বিস্ফোরণে প্রধান অভিযুক্ত ছিল দাউদ। ভারত বরাবর বলে এসেছে, ওই বিস্ফোরণের পরে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে মাফিয়া ডন। পাকিস্তান বরাবর সেকথা অস্বীকার করে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি সেদেশের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, করাচির অভিজাত ক্লিফটন এলাকায় থাকে দাউদ। তার বাড়ির নাম হোয়াইট হাউস। সেই বাড়ির কাছেই অবস্থিত সৌদি মসজিদ। কিন্তু দাউদের ডি কোম্পানির সদস্য তথা আর এক মাফিয়া ডন ছোটা শাকিল উড়িয়ে দেয় সেকথা। 

গত বুধবারই এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে ছোটা শাকিল বলে, মিডিয়ায় যাই প্রকাশিত হোক, দাউদ করাচিতে থাকে না। মিডিয়া যদি দাবি করে দাউদের বাড়ি করাচির ক্লিফটন অঞ্চলে, তারা সেকথা প্রমাণ করুক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here