দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার আরও এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হলেন। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। সল্টলেকের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাবড়ার বিধায়ক।

  • খাদ্যমন্ত্রীর হাই ডায়াবেটিস রয়েছে। সেই বিষয়টা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের।
  • দিনকয়েক আগেই করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা টেস্ট হয় খাদ্যমন্ত্রীর। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
  • জ্যোতিপ্রিয় বাবুই অবশ্য প্রথম নয়, তৃণমূলের অন্দরে করোনা সংক্রমণ ও তার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

মৃদু উপসর্গ নিয়ে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। তবে, খাদ্যমন্ত্রীর হাই ডায়াবেটিস রয়েছে। সেই বিষয়টা ভাবাচ্ছে চিকিৎসকদের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিনকয়েক আগেই করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় করোনা টেস্ট হয় খাদ্যমন্ত্রীর। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

জানা গিয়েছে, দু’একদিন ধরেই কোভিডের উপসর্গ দেখা যাচ্ছিল খাদ্যমন্ত্রীর শরীরে। রবিবার রাতে তিনি যান অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর কোভিড টেস্ট হয় এবং রিপোর্ট আসে পজিটিভ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

জ্যোতিপ্রিয় বাবুই অবশ্য প্রথম নয়, তৃণমূলের অন্দরে করোনা সংক্রমণ ও তার ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিত্‍‌সাধীন ছিলেন। তমোনাশ বাবুরও রক্তে সুগার ছিল মাত্রাতিরিক্ত। তা ওষুধ দিয়ে কমানো হয়েছিল। পরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাও কমানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশনের থাকার ফলে তাঁর গলায় সংক্রমণ হয়। সে জন্যও চলছিল চিকিৎসা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় তাঁর। তমোনাশবাবুর দুই মেয়েও করোনায় সংক্রামিত হয়েছিলেন।

এর আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার দুই সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রথমে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর। শুরুতে বাড়িতে থাকলেও পরে তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তারপর কোভিডে আক্রান্ত হন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী স্বপ্ন দেবনাথ। শ্বাসকষ্ট থাকায় তাঁকেও বর্ধমান থেকে বেলেঘাটা আইডিতে স্থানান্তরিত করতে হয়েছিল। যদিও সুজিত বসু ও স্বপন দেবনাথ– দুই মন্ত্রীই কোভিড জয় করে বাড়ি ফিরেছেন।

এমনিতে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণ সর্বাধিক। অন্যান্য দলের তুলনায় রাজ্যে তৃণমূলের বিধায়করাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ফলতার বিধায়ক তথা তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশ ঘোষ ও এগারার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাসের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। তা ছাড়াও শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ী, মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাস, চোপড়ার বিঢায্ল রুকবানুর রহমান, জাঙ্গি পাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছিল।

এবার আক্রান্ত হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।অপরদিকে, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৮৮ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ০৮৭ জনের কোভিড ধরা পড়েছে। তবে, দু লক্ষের কাছাকাছি আক্রান্ত হলেও বাংলায় এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২৩ হাজার ২১৮।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here