দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চৈত্রের শুরুতেই তপ্ত বাংলা। মহানগরীর তাপমাত্রাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহষ্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। এদিন আকাশ পরিষ্কার থাকবে, এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে হাওয়া অফিস।

বুধবার শহরের তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও শুক্রবার তিলোত্তমার আকাশে ফের মেঘেদের আনাগোনা হতে পারে, জানিয়েছে হাওয়া অফিসের মোরগ। আর সেই কারণে ভ্যাপসা গরম সামান্য হলেও কমার ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রেও স্বস্তি কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হবে না। বরং দ্রুত গতিতেই বাড়বে তাপমাত্রা। এমনকী মাস শেষের আগেই চল্লিশের কোটা ছুঁতে পারে গরম।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক এদিন কোথায় কত তাপমাত্রা থাকবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আসানসোলের তাপমাত্রা থাকবে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটের তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ২৮.৮ ডিগ্রি। বাঁকুড়ায় পারদ ছুঁয়েছে ৩৭ ডিগ্রি, ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা ৩৫.৮ ডিগ্রি। বহরমপুরে পারদ চড়েছে ৩৫.৬ ডিগ্রিতে, বর্ধমানের তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭.৬ ডিগ্রি, ক্যানিংয়ে তাপমাত্রা ৩৫.৬ ডিগ্রি, কাঁথির পারদ ছুঁয়েছে ৩৩ ডিগ্রি, কোচবিহারে তাপমাত্রা ৩২.২ ডিগ্রি, দার্জিলিঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি, ডায়মন্ডহারবারে পারদ ছুঁয়েছে ৩৭.৪ ডিগ্রি, দিঘার তাপমাত্রা ৩৩.৫ ডিগ্রি, দমদমের তাপমাত্রা ৩৬.৮ ডিগ্রি, হলদিয়ার তাপমাত্রা ৩৫.৯ ডিগ্রি, জলপাইগুড়িতে পারদ ছুঁয়েছে ৩১.১ ডিগ্রি, কালিম্পঙে ২৩.৫ ডিগ্রি, কৃষ্ণনগরে ৩৫.২ ডিগ্রি, মালদায় ৩৫ ডিগ্রি, মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৭.৩ ডিগ্রি, পানাগড়ে ৩৬.৬ ডিগ্রি, পুরুলিয়ায় ৩৫.৫ ডিগ্রি, সল্টলেকে ৩৬.৫ ডিগ্রি। এদিকে শিলিগুড়ির তাপমাত্রা ৩১.১ ডিগ্রি, শ্রীনিকেতনে ৩৫.১ ডিগ্রি।

উল্লেখ্য, আপাতত গরমের হাত থেকে রেহাই মিলবে না সাফ জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু জায়গা ছাড়া সারা রাজ্য দাপাবে শুষ্ক গরম। দিল্লি কিংবা রাজস্থানের পর বাংলার সঙ্গী ওই ভ্যাপসা গরম।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই ঝোড়ো বাতাসের আমেজ পেয়েছিল বাঙালি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল অনেকটা। তবে রবিবার সকাল থেকেই চিত্রটা বদলে গিয়েছিল। আবহাওয়াবিদদের দাবি, নিম্নচাপ অক্ষরেখা পূর্বদিকে সরে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। ফলত দ্রুত বাড়ছে তাপমাত্রা। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। আর তাই আপাতত লেবুর জলেই তৃষ্ণা মেটাতে হবে বঙ্গবাসীকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here