দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শিউরে ওঠার মতো ভিডিও। পর পর গুলি চলছে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ছেন একের পর এক। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা চতুর্থ দফার ভোটের দিন শীতলকুচির ঘটনার ফুটেজ বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সূত্রে।

কোচবিহারের শীতলখুচিতে গত ১০ এপ্রিল ভোটপ্রক্রিয়া চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু ঘটে। সে দিনের ঘটনাস্থলের একটি ভিডিয়ো বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে। দেশের সময় ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, উত্তেজিত জনতার জমায়েত, গুলির আওয়াজ, আর্তচিৎকার এবং রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন পড়ে থাকতে।

তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সেই ভিডিয়োটি টুইটও করেছেন। গুলি চালানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘ব্যাখ্যা’কে খোঁচা দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘প্রতিটি সত্য প্রকাশ্যে এল। একে অপরকে বাঁচানোর ষড়যন্ত্র পরাস্ত হল। প্রমাণিত হল, গ্রামবাসীরা সরকারি কর্মীদের কোনও ক্ষতি করেননি। পরবর্তী সরকারের উপর ভরসা রাখুন। সকলকে শাস্তি দেওয়া হবে। যিনি, যত বড়ই হোন না কেন’।

যদিও এর আগে জানা গিয়েছিল ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকলেও তা অফলাইন ছিল। ফলে প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য লাইভ স্ট্রিমিং হয়নি। এও জানা গিয়েছিল, ফুটেজ রেকর্ড হলেও তার ট্রানসমিশন করা যায়নি। কোচবিহার জেলা প্রশাসন নাকি এখন তা নিয়েই ব্যস্ত। তা নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে তৃণমূল কংগ্রেস।

ভিডিয়োতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং গ্রামবাসীদের ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে তাড়া করে যাচ্ছেন দেখা গিয়েছে। উত্তেজিত পুরুষ এবং মহিলাদের বড় অংশের হাতেই রয়েছে লাঠি এবং বাঁশ।

একই ভাবে গুলির আওয়াজ শোনা গেলেও সরাসরি কোনও সিআইএসএফ জওয়ানকে গুলি চালাতে দেখা যায়নি। তবে মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত দেহ ঘিরে গ্রামবাসীদের একাংশ গুলি করে মারার অভিযোগ করছেন বলে শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি, গ্রামবাসীদের একটি সরকারি বাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যাচ্ছে ভিডিয়োতে। ওই বাড়িটিই শীতলখুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথ বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই ঘটনা নিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কমিশনকে রিপোর্ট দিয়েছেন, ওখানকার জনতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে ফেলে অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে গিয়েছিল। সেই সময়ে জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। একই কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।


পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, সবটাই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। ওখানে গণহত্যা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা।

তবে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা মোবইল ফোনে তোলা। প্রায় সাড়ে দশ মিনিটের ফুটেজ রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here