দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনা রোগীদের জন্য প্রাথমিকভাবে রেমডেসিভিরের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা ডিজিসিআই। বলা হয়েছে, যাঁরা ল্যাবে কাজ করেন, কিংবা যাঁদের মধ্যে উপসর্গ অনেক বেশি তাঁদের এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। আর এই ঘোষণার পরেই রেমডেসিভিরের কালোবাজারি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ডিজিসিআই। এই ব্যাপারে সব রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা।

ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কড়া নজরদারি চালাতে হবে। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে যেন কেউ এক টাকাও না নিতে পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বলে হয়েছে, “খবর পাওয়া গিয়েছে, ইতিমধ্যেই অনেকে রেমডেসিভিরের কালোবাজারির চেষ্টা চালাচ্ছে। নির্দিষ্ট দামের থেকে এক টাকাও যেন বেশি না নেওয়া হয়। যারা এই কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ডিজিসিআইয়ের প্রধান ডক্টর ভি জে সোমানি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাঁদের জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের কিছু জায়গা থেকে এই অভিযোগ এসেছে। তাই সঙ্গে সঙ্গে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। কোথাও যেন কালোবাজারি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

সোমবার ড্রাগ প্রস্তুতকারক সংস্থা মাইলান এনভি জানিয়েছে, রেমডেসিভিরের একটি জেনেরিক ভার্সন তারা বাজারে আনবে। এই রেমডেসিভির প্রথমে তৈরি করেছে আমেরিকার গিলেড সায়েন্সেস। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই জেনেরিক ভার্সনের নাম দেওয়া হয়েছে ডেসরেম। আরও দুটি সংস্থা সিপলা ল্যাবস ও হেটেরো লিমিটেডেরও জেনেরিক ভার্সনকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মাইলানের জেনেরিক ভার্সন ডেসরেমের ১০০ মিলিগ্রাম ড্রাগের দাম রাখা হয়েছে ৪৮০০ টাকা। অন্যদিকে সিপলার জেনেরিক ভার্সন সিপ্রেমির ১০০ মিলিগ্রাম ড্রাগের দাম ৫ হাজার টাকার কম রাখা হবে। হেটেরো লিমিটেড তাদের জেনেরিক ভার্সন কোভিফোরের দাম রেখেছে ৫৪০০ টাকা।

রেমডেসিভির রোগীদের সুস্থতার হার বাড়ানোতে সক্ষম হওয়ায় এই ড্রাগের চাহিদা বেড়ে যায়। কিন্তু গিলেড সায়েন্সেস অত দ্রুত এই ড্রাগ তৈরি করতে না পারায় এই ড্রাগের জেনেরিক ভার্সন তৈরি করার অনুমতি দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া।

অন্যদিকে গিলেড জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের সব ওষুধ আমেরিকাকে দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, অন্যান্য দেশে এই ওষুধ মিলবে কিনা। তাই ভারতের তরফে নিজে থেকেই এই ড্রাগ তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু কোনও মতেই যেন তার কালোবাজারি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here