দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ কালীপুজো ,দীপাবলী কিংবা ক্রিসমাস সমস্ত উৎসবেই বাজি ফাটানো বা বিক্রি করা যাবে না। বাজি মামলায় শুক্রবার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে সময় বেঁধে দিয়ে পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানোর কথা বলেছিল তাও এদিন খারিজ করে দিল আদালত।

আদালত এদিন বলেছে, প্রদীপ জ্বালানো যাবে। তবে কোনও ধরনের বাজি বিক্রি বা পোড়ানো যাবে না। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছিল,  দীপাবলীতে রাত্রি রাত ৮টা-১০টা, ছটপুজোর সকালে ৬টা-৮টা পরিবেশবান্ধব বাজি ফাটানো যাবে। সেইসঙ্গে ক্রিসমাস, বর্ষবরণ এবং ১ জানুয়ারি ৩৫ মিনিট , রাত্রি ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট, বাজি ফাটাতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। তাঁদের কথায়, করোনার সময় বাজি পোড়ানো হলে ধোঁয়ায় চরম শ্বাসকষ্টের মুখে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি করোনা সরাসরি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে অনেকে অসুস্থ হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, বড়দিন এবং বর্ষবরণের দিনেও আতসবাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল পর্ষদ। ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত পোড়ানো যাবে বাজি, জানানো হয়েছিল এমনটাই। যদিও পরিবেশবিদদের একাংশ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।

একটা সময়ে শব্দবাজিতে কান পাতা যেত না। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের গুঁতোয় প্রশাসনিক সক্রিয়তায় তা গত সাত-আট বছরে অনেকটা কমেছে বটে। তবে আতশবাজির রোশনাই থামেনি। কিন্তু এই কোভিড পর্বে আতশবাজিও বিপজ্জনক। দূষণের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যা সুস্থ মানুষকেও হাঁপিয়ে তোলে। সংক্রমণের মাত্রা কমলেও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাধিক পরিবেশপ্রেমীদের সংগঠনও বাজি না ধরার আহ্বান জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে।

কিন্তু আদালত এদিন ধোঁইয়াশার কথা উল্লেখ করেছে। বলেছে, সাধারণ মানুষ, পুলিশ কী ভাবে বুঝবেন কোনটা পরিবেশবান্ধব বাজি। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে , বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে আদালতকে এই নির্দেশ দিতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত ধরনের শব্দবাজির ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই উপকৃত হয়েছিলেন বলে মতামত বিশেষজ্ঞ মহলের। বাজি পোড়ানো হলে দূষণ বাড়তে পারে এবং করোনা পরিস্থিতিতে অসুবিধায় পড়তে পারেন অনেকে, মনে করা হচ্ছিল এমনটাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here