দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভারতে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই সংক্রমণ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও নতুন সরকারি প্রকল্প শুরু হবে না বলেই জানাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।

গত ২৫ মার্চ থেকে ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন চলছে দেশে। কিন্তু তারপরেও সংক্রমণ কমা তো দূরের, তা বেড়েই চলেছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এখনও সংক্রমণের পিক বা সর্বোচ্চ স্তরে আমরা পৌঁছয়নি। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংকট মোকাবিলা করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। আর তাই এই সময় নতুন কোনও সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করা হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নতুন করে কোনও প্রকল্প শুরু করার প্রস্তাব যেন অর্থমন্ত্রককে না দেওয়া হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা ও কয়েক দিন আগে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য যেসব প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলি শুরু হবে। সেইসব প্রকল্প ছাড়া নতুন কোনও প্রকল্প এই মুহূর্তে অর্থমন্ত্রক শুরু করবে না বলেই জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমন।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, “কোভিড ১৯ মহামারী রুখতে এই মুহূর্তে অনেক অর্থের প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, জনজীবনকে স্বাভাবিক করতেও অনেক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে সেগুলিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। করোনা সংকট মোকাবিলার এই সময়ে নতুন কোনও প্রকল্প নয়। শুধুমাত্র করোনা পরবর্তী আত্মনির্ভর ভারত ও প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার ক্ষেত্রে অর্থের যোগান দেওয়া হবে।”

বাজেটের আওতায় থাকা প্রকল্প, যেগুলির অনুমোদন ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিকেও আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক। তবে যদি কেন্দ্রীয় সরকার কোনও বিশেষ প্রকল্পের বিষয়ে অর্থমন্ত্রককে জানায়, তাহলে সেই প্রকল্প শুরু হতে পারে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী ৫ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,২৬,৭৭০। এ যাবৎ দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৩৪৮ জনের। সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,০৯,৪৬২ জন। দেশে এখন অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা ১,১০,৯৬০।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮৫১ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২৭২৫ জন। ভারতে এখন সুস্থতার হার ৪৮.২৭ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে ৩ লাখ আক্রান্ত হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। লকডাউনে অনেকটা ছাড় দেওয়ায় ফের জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ মোকাবিলা করা আরও বেশি কঠিন। তাই আপাতত সেদিকেই নজর দিতে চায় অর্থমন্ত্রক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here