দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঘূর্ণিঝড় আমপান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কোথাও সড়কপথে, কোথাও আবার জলপথে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তাঁরা।

উত্তর ২৪ পরগনায় চার সদস্যের এই দলে ছিলেন ঋষিকা সরণ, নরেন্দ্র কুমার, আর কে দুবে, ও সমীরণ সাহা। সন্দেশখালি এক, সন্দেশখালি দুই ও ন্যাজারহাট পরিদর্শনের আগে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার ডিএম চৈতালি চক্রবর্তী, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কংকরপ্রসাদ বাড়ুই, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাত ও পঞ্চায়েত প্রধান শেখ শাজাহান। এ দিন সকাল সাড়ে দশটায় ধামাখালিতে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়।

ঘূর্ণিঝড়ে কোন কেন এলাকার কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কোথায় কোথায় নদীবাঁধ ভেঙেছে, সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেন তাঁরা। দুর্গতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি কথা বলেন জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে।

অন্যদিকে শুক্রবার সকাল ১০টার সময় হেলিকপ্টারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় আসেন ৩ জনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মিনিস্ট্রি অফ হোম অ্যাফেয়ার্সের জয়েন্ট সেক্রেটারি অনুজ শর্মা। তাঁরা প্রথমে পাথরপ্রতিমা মহাবিদ্যালয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। এখানেই জেলাশাসক পি উল্গানাথন তাঁদের কাছে জেলার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খতিয়ান তুলে ধরেন। পরে তাঁরা গাড়িতে করে উত্তর গোপালনগরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন।

উত্তর গোপালনগর থেকে ফিরে লঞ্চে করে পাথরপ্রতিমার ব্রজবল্লভপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান। ব্রজবল্লভপুর এলাকা পরিদর্শনের পর জি-প্লটের দিকে লঞ্চে করে রওনা দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তবে ভরা কোটালে জি-প্লটে যাওয়ার সময় বকচড়া নদী উত্তাল থাকায় লঞ্চ ঘুরিয়ে পাথরপ্রতিমার খেয়াঘাটে ফিরে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের ৩ সদস্য। 

এরপর তাঁরা গাড়িতে করে পাথরপ্রতিমা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলি ঘুরে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পি উল্গানাথন, পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক সৌভিক চ্যাটার্জি- সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা।

২০ মে আমপানের তাণ্ডবের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আকাশপথে রাজ্যে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিপর্যস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। ঘূর্ণিঝড় উমফানের তাণ্ডবে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৮।

শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিব এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসারদের নিয়েও বৈঠক করার কথা আছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার বিকেলেই সুপার সাইক্লোন আমপান পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নেতৃত্বে গঠিত আইএমসিটি।   

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here