দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অক্টোবরেই দেশে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে করোনার তৃতীয় ঢেউ। এই পরিস্থিতিতে কোটি টাকার প্রশ্ন, বাংলায় কবে খুলবে স্কুল ও কলেজ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং তৃতীয় ঢেউ না এলে ভাইফোঁটার পরেই স্কুল খুলে দেওয়ার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সভাঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের কোভিড সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সমস্ত পরিস্থিতি আয়ত্তে থাকলে তবেই পুজোর পরে স্কুল খুলে দেওয়া হবে।

কোভিড আবহে বন্ধ স্কুল কলেজ। গত বছর মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই স্কুলগুলিতে তালা পড়ে গেছে, আর খোলেনি। নিউ নর্মালে কোভিড বিধি কিছুটা লঘু হলেও স্কুল-কলেজের দরজা খোলেনি। চলতি বছরে আবার কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পরে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করে। রাজ্যের কোভিড গ্রাফও শীর্ষে পৌঁছয়। ফলে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এখন কোভিড পরিস্থিতি আগের থেকে নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যে সংক্রমণও কমেছে। তাই স্কুল কবে খুলবে সেই প্রশ্ন রয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে। কোভিড পজিটিভিটি রেটও ১ শতাংশের মধ্যে। যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ না আসে এবং বাদবাকি পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে ভাইফোঁটার পরেই স্কুল খুলে দেওয়া যেতে পারে।
চলতি বছর জানুয়ারিতে স্কুল খোলার প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, স্কুল-কলেজ স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে।

স্কুল খোলার পরে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আক্রান্ত না হয় সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে। ইতিমধ্যেই অনেক রাজ্য স্কুল খুলেছিল। কিন্তু সংক্রমণ ছড়ানোয় ফের তা বন্ধ করে দিতে হয়েছে। শিক্ষার সঙ্গে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের দিকটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

চলতি বছর অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের অধীনস্থ টিম রিপোর্ট দিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে, শিশুদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই এখন থেকেই দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নের দিকে জোর দিতে বলা হয়েছে।

আদিবাসী উন্নয়নের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রাইবাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি করেছিলেন। সোমবার ছিল সেই পর্ষদের প্রথম বৈঠক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌৫০০ সাঁওতালি স্কুলে অলচিকি হরফে পড়ানো হবে। ২০০টি রাজবংশী স্কুল, ২টি কামতাপুরি স্কুলও হচ্ছে। এছাড়াও কুর্মি, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি সমস্ত ভাষায় নতুন নতুন স্কুল আগামীদিনে সিলেবাস তৈরি হওয়ার পর পড়ানো হবে। এটা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা ছিল।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here