দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেরলের তিন ছাত্রকে দিয়ে শুরু হয়েছিল। করোনার আতঙ্ক ক্রমেই চেপে বসছে ভারতে। সোমবার দিল্লি ও তেলঙ্গানার দুই বাসিন্দার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে তোলপাড় শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরে। মঙ্গলবার আরও ছ’জনের শরীরে মিলল ভাইরাসের খোঁজ। আগ্রার একই পরিবারের ছ’জন আক্রান্ত হলেন করোনার সংক্রমণে। সব মিলিয়ে ভারতে এখনও পর্যন্ত ভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১। সংক্রমণ সন্দেহে পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে আরও ডজনখানেকের।

স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, জয়পুরে ইতালির এক পর্যটকের শরীরে ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল। তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসাও শুরু হয়েছিল। ওই পর্যটকের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে। এদিন সেই টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অন্যদিকে, তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই যুককেও কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, দুবাই থেকে করোনার সংক্রমণ নিয়েই বেঙ্গালুরুতে ফিরেছিলেন তিনি। সেখানে কিছুদিন অফিসে কাজও করেন। পরে সর্দি-জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে বাসে চেপে হায়দরাবাদে পৌঁছন। এই যুবকের থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু বলেছেন, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালেও গিয়েছিলেন ওই যুবক। কাজেই তাঁর থেকে অন্য কারও শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে কিনা সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আতঙ্কে রয়েছেন বেঙ্গালুরুতে ওই যুবকের প্রতিবেশীরাও।

সূত্রের খবর, আগ্রার একই পরিবারের ছ’জনের শরীরে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের দু’জন ইতালিতে গিয়েছিলেন। তাঁরা সংক্রমণ নিয়েই দেশে ফেরেন। তাঁদের থেকে পরিবারের বাকি চারজনের শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

লখনৌয়ের একটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ওই ছ’জনকে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, একমাসের মধ্যে ২৩ জন ইতালির পর্যটক দিল্লিতে নেমেছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা রাজস্থানে যান। ওই দলের মধ্যে একজনের শরীরে সিওভিডি-১৯ পজিটিভ। বাকিরাও সংক্রামিত কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হবে

ইতালি-ফেরত দিল্লির বাসিন্দার থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়। গৌতম বুদ্ধ নগরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার অনুরাগ ভার্গব জানিয়েছেন, ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় আজ থেকে দু’দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নয়ডার শ্রীরাম মিলেনিয়াম স্কুল। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বার্ষিক পরীক্ষাও। পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই স্কুল খোলা হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেই স্ক্রিনিং করতে গিয়েই চমকে যান স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। দেখা যায় ওই স্কুলেরই এক পড়ুয়ার অভিভাবকের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে সংক্রমণ। তাসত্ত্বেও অভিভাবকের থেকে বাচ্চার শরীরেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওই শিশুটির সহপাঠীদের নিয়ে মোট ৪০ জনকে ভাইরাসের সংক্রমণ সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ২৮ দিন পড়ুয়াদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here