দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে চিনে।

আক্রান্তের সংখ্যাও সেখানে সবথেকে বেশি। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৪২৫। অর্থাৎ একদিনে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভাইরাস-আতঙ্ক:

• চিনে মৃতের সংখ্যা ছুঁল ৪২৫
• আক্রান্তের সংখ্যা (মঙ্গলবার পর্যন্ত) ২০,৪৩৮
• সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মার্কিন সাহায্য নিতে রাজি চিন
• স্থানীয় ভাবে সংক্রমণের খবর সিঙ্গাপুর থেকেও
• সিঙ্গাপুরে এমন চার মহিলার দেহে সংক্রমণের খোঁজ যাঁরা চিনের উহানে যাননি


জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার। চিনের হুবেই প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ। এই সংখ্যাটা আড়াই হাজারের বেশি। এছাড়াও তাইল্যান্ডেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইউরোপ ও এশিয়ার একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। সব মিলিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
আন্তর্জাতিক একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রুখতে রবিবার পূর্ব চিনের ওয়েনঝাউয়ের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার, লোকজনকে ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
হুবেইয়ের রাজধানী উহান থেকে এই ভাইরাস প্রথম ছড়াতে শুরু করে। এখন চিনের সব প্রান্ত তো বটেই, এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক এখন বিশ্বজুড়ে। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। তারপরে বিশ্বের সব দেশই তাদের নাগরিকদের উহান থেকে নিজেদের দেশে ফেরাতে শুরু করেছে।


পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ দিনের মধ্যে একটি এক হাজার শয্যার হাসপাতাল চালু করে দিয়েছে চিন, আরও একটি দেড় হাজার শয্যার হাসপাতাল তারা চালু করতে চলেছে বলে খবর।

ফিলিপিন্সে রবিবার করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। চিনের বাইরে কোনও দেশে করোনাভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যু। স্বভাবতই আতঙ্কিত এই দ্বীপরাষ্ট্রটিও।
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তৃতীয় ব্যক্তির সন্ধান মিলছে কেরলে। তারপরেই একে ‘বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করেছে কেরল সরকার। যদিও মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ৬০০ জন ভারতীয়কে বিমানযোগে চিন থেকে দেশে ফিরিয়েছে ভারত।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে হংকংয়ে সোমবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীদের একাংশ। তাঁরা দাবি করেছেন, চিনের সঙ্গে এই শহরের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হোক। এই দাবি মানা না হলে আরও বহু চিকিৎসাকর্মী এই ধর্মঘটে যোগ দেবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন। হংকংয়ে এখনও পর্যন্ত পনেরো জন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে।

চিনের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া ও নেপাল। বিদেশি নাগরিকদের ঢোকা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এখনও পর্যন্ত ভারত-সহ মোট ২৪টি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১১ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই আতঙ্কের মধ্যেই চিনকে সাহায্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সূত্রের খবর,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মার্কিন বিশেষজ্ঞদের এই ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা ও লড়াইয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে চিন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here