দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে মামলা দায়ের অভিনেতা কঙ্গনা রানৌতের বিরুদ্ধে। মুম্বই আদালত থেকে এফআইআর–এর নির্দেশ জারি হয়েছে শনিবার। 
আবেদনকারী সাহিল আশরফালি সইয়দ বলিউডের একজন কাস্টিং ডিরেক্টর। রাম গোপাল ভার্মা, নাগার্জুনা এবং সঞ্জয় গুপ্তার মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর আবেদনপত্রে জানিয়েছেন, ‘‌কঙ্গনা রানৌত খুব ভাল করেই জানেন যে তাঁর একটি জনপ্রিয়তা আছে। এবং তাঁর একেকটি টুইট কঠয়েক লক্ষ মানু্্ষের কাছে পৌঁছায়। তাও তিনি এমন কিছু টুইট করেন, যা সাধারণ মানুষের মনে বিভেদ সৃষ্টি করছে।

বিজ্ঞাপন:
  • শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন কোর্টের তরফে পুলিশকে কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • সাম্প্রদায়িক অন্তোষ ও ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি, এই অভিযোগ এনে কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দ মামলা দায়ের করেছিলেন আদালতে।

সাক্ষাৎকার ও টুইটারের মাধ্যমে ক্রমাগত দু’‌টি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করেন।’‌ এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেছেন, কীভাবে বিএমসি–কে ‘‌বাবর সেনা’‌ বলে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। হিন্দু শিল্পী ও মুসলিম শিল্পীদের সম্পর্কে ভিন্ন বক্তব্য দেন। আবেদনের শুনানিতে মুম্বই আদালত মুম্বই পুলিশকে এবিষয়ে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে। জানিয়েছে, ‘‌অভিনেতা এবং তাঁর বোন রঙ্গোলি চান্দেলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি কোডের (সিআরপিসি) আওতায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও তদন্ত শুরু করা হোক।’‌  

শনিবার মুম্বইয়ের বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন কোর্টের তরফে পুলিশকে কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক অভিযোগকারীর পিটিশনের শুনানিতে এই রায় দেয় আদালত। সাম্প্রদায়িক অন্তোষ ও ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি, এই অভিযোগ এনে কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দ মামলা দায়ের করেছিলেন আদালতে।

অভিযোগকারী ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ, ১২৪ ধারায় কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেম। মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দ বিশেষভাবে কঙ্গনার সেই ট্যুইটারের উপর জোর দিয়েছেন যেখানে নায়িকা মুম্বইয়ের তুলনা টেনেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে। তাঁর দাবি, কঙ্গনার এই ধরনের মন্তব্যের পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা খতিয়ে দেখার দরকার আছে। এর তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এই নির্দেশ জানার পর পালটা ট্যুইট করেছেন কঙ্গনাও।

কয়েকদিন আগেই কৃষিবিলের বিরোধীদের পথে নামা হাজার-হাজার চাষির বিরুদ্ধে তিনি যে মন্তব্য করে বসেছেন, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল গোটা দেশের অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে কৃষক সমাজের একটা বড় অংশ। কৃষি বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের তুলনা করেছিলেন কঙ্গনা। পঞ্জাবের অমৃতসরে বহু কৃষক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই কঙ্গনা রানাওয়াতের কুশপুতুল নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। কৃষকদের সম্পর্কে আপত্তিকর ট্যুইটের অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে গত ৯ অক্টোবর এফআইআর দায়ের করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কর্নাটকের এক থানাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন টুমাকুরুর ফার্স্ট ক্লাস জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here