দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’ থেকে নাম তুলে নিয়েছিল বাংলা। নবান্নের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল, ওই প্রকল্পে বাংলা যুক্ত হবে না। রাজ্যের মানুষের জন্য স্বাস্থসাথী প্রকল্প.শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সর্বজনীন গণবণ্টন ব্যবস্থা নিয়েও মোদী সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজ্য সরকার।

খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “কেন্দ্রের ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান রেশন কার্ড’ প্রকল্পের ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। ওই প্রকল্পের মধ্যে আমরা ঢুকবনা।


দেশের সব মানুষের জন্য একটি রেশন কার্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। এবছরের জুন মাস থেকে তা বাস্তবায়িত হওয়ার কথা। উদ্দেশ্য একটাই– গণবণ্টন ব্যবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও গরিব মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন। আর এক এলাকার মানুষ আরএক এলাকায় গেলে তাঁকে যেন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে না হয়। অর্থাৎ দিল্লির মানুষ আমদাবাদে গিয়ে নিজের কার্ড দেখিয়ে রেশন তুলতে পারবেন। পুরোটাই হবে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরও বলেছেন, “রাজ্যে এমনিতেই ডিজিটাল রেশন কার্ড চালু হয়েছে। এর জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে উত্তর২৪পরগনা জেলার হাবরার বিধায়ক বলেছেন-

“ওই টাকা কে ফেরত দেবে? আমরা ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড প্রকল্প বাস্তবায়িত করব না।” তিনি এও বলেন, কেন্দ্রের থেকে ৬ হাজার কোটি টাকার মতো বাংলার বকেয়া পাওনা আছে। দিল্লি আগে সেই টাকা দিক।
এরমধ্যেই ১০টি রাজ্য এই প্রকল্পে তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান। এর মধ্যে রয়েছে রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো অবিজেপি রাজ্যও। কিন্তু আয়ুষ্মানের মতো এই প্রকল্পেও না করে দিল বাংলা।


এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির এক মুখপাত্র বলেন, “এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের মানসিকতা। এরা সাধারণ মানুষের অসুখ-বিসুখ, ওষুধ, চাল-ডাল-তেল-নুন নিয়েও রাজনীতি করে। বাংলার মানুষ সব দেখছেন।

আয়ুষ্মানে না যুক্ত হওয়ার জবাব পেয়েছে উনিশে। এক দেশ এক রেশন কার্ডের জবাব পাবে একুশে।” আর এক বিজেপি নেতার কথায় গরীব মানুষের কথা ওরা মুখে বলে, আসলে অর্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা ওই দলটা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here