দেশের সময় ,গাড়াপোতা নদীয়া: স্কুল মাঠ জুড়ে বিয়ের প্রীতিভোজের আসর বসেছে দূর থেকে দেখলে মনে হতেই পারে নদীয়ার কোন জগদ্ধার্থী পুজোর বড় মন্ডপসজ্জা। না ঠিক তা নয় আসলে এটি হলো নদীয়ার বগুলার গারাপোতা হাইস্কুলের মাঠে একটি বিয়ের প্রীতি ভোজ অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল।

স্কুল চলছে তাতে কি বিয়ের খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান বলে কথা তার উপরে সন্ধ্যা থেকে বসবে গানের জলসা, চলছে ব্যাপক রান্নাবান্না।রাস্তার দু’পাশে বসেছে চন্দন নগরের অনুকরণে আলোর গেট৷ এক কথায় রাজকীয় ব্যাপার৷

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। বুধবার গারাপোতা হাইস্কুল চলাকালীন কি ভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে? আইনত কি করা যায়,নাকি স্কুল কতৃপক্ষ্ কিছুই জানেন না! গারাপোতা স্কুল মাঠের এই বিয়ের প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়৷

এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায় এলাকার কেউ এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইছে না কারণ ,যার বিয়ের প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান তিনি গাজনা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য এবং শক্তিনগর হাইস্কুলের শিক্ষক তার বিরুদ্ধে কেউই মুক খুলেত চাইছেন না,তবে নাম প্রকাশ না করে অনেকেই বলেন অনন্তত কুড়ি লক্ষ্য টাকা খরচে হচ্ছে এই অনুষ্ঠান এবং লিখিত কোন অনুমতি ছাড়াই স্কুল কতৃপক্ষের চোখের সামনেই স্কুল মাঠে বসেছে এই প্রীতি ভোজের আসর, ভ্রুক্ষেপ নেই প্রশাসনের।

“গাড়াপোতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন কোন লিখিত অনুমতি তিনি দেন নি,তবে এদিন স্কুল চলছে নিয়মমেনেই৷” স্কুল পরিচলন সমিতির সভাপতি মনোজ কান্তি সিকদার(প্রাক্তন শিক্ষক) দেশের সময় কে বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মলীন বিশ্বাসের কাছ থেকে কোন লিখিত অনুমতি নেন নি, তবে সামাজিকতার প্রয়োজনে এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য মৌখিক অনুমতি দিতে হয় অনেক সময়৷ তিনি আরও জানান গাজনা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান চঞ্চল বিশ্বাস এবং বর্তমান প্রধান দিলীপ বিশ্বাস এই অনুষ্ঠানের অনুমতির জন্য স্কুল কতৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলেন৷ পাশাপাশি তিনি বলেন মলিন কান্তি রায় এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তাই ওনার আবদারটা কে ফেলতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।শুধু মলিন নয় এর আগে এই স্কুলের প্রাক্তন বহু ছাত্রদের বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে এই মাঠেই৷

এদিন দুপুরে স্কুলে গিয়ে দেখা যায় স্কুল মাঠ জুড়ে করা হয়েছে প্রীতিভোজের প্যান্ডেল। সেখানে চলছে রান্না সাজানো হচ্ছে চতুর্দিক।
এদিনের এই ঘটনাকে অনৈতিক এবং নিন্দনীয় বলে বর্ণনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ অনেক অভিভাবকেরা৷

যার বিয়ের প্রীতি ভোজের অনুষ্ঠান গাজনা পঞ্চায়েত তৃণমূলের সদস্য (শক্তি নগর হাইস্কুলের শিক্ষক) মলিন কান্তি রায়কে এদিন অনেক বার ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here