দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সঠিক সময়ে ভোট হলে বাংলায় একুশের লড়াইয়ের আগে ঠিক ৯ মাস বাকি। তার আগে আজ মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধ প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে চলেছেন সর্বভারতীয় বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

লকডাউনের কারণে বড় জমায়েতে এখন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তাও অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে দলের কর্মী ও জনতার কাছে পৌঁছতে অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভার আশ্রয় নিয়েছেন। সকাল ১১ টা থেকে সমস্ত সোশাল প্ল্যাটফর্মে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সর্বভারতীয় বিজেপি ও রাজ্য বিজেপির তাবড় নেতারা তাতে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।

আজকের সভার আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “অমিতজির সভা থেকেই বাংলায় রাজনৈতিক পালাবদলের সূচনা হয়ে যাবে”। তাঁর কথায়, “বিজেপিতে ভার্চুয়াল সভা এই প্রথম হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে বিশ্বে রেকর্ড স্থাপন করবে দল।”

আসলে অমিত শাহর ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি জুড়ে থাকবেন বিজেপির ১ হাজার কর্মী। কিন্তু সেটার ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার হিসাবে ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন সোশাল প্ল্যাটফর্ম ও বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে। যেমন বিহার বিজেপি দাবি করেছে যে তারা ৭০ হাজার এলইডি টিভি ব্যবহার করে গ্রাম গঞ্জ পর্যন্ত অমিত শাহর বক্তব্যকে ছড়িয়ে দিয়েছে। ৪৩ লক্ষের বেশি মানুষ প্রাক্তন বিজেপি সভাপতির বক্তৃতা শুনেছেন।

আবার তা নিয়ে সোমবার কটাক্ষও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপি কোটি কোটি টাকা খরচ করে ওসব করছে। তৃণমূলের অত টাকা নেই। দলের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সিং হয় মাত্র।

তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, অমিত শাহর বার্তা বাংলায় কতদূর ছড়াবে সেটা অবশ্যই বিজেপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রযুক্তি নিয়ে ওদের মাথাব্যাথাও রয়েছে। তবে রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হল, বাংলায় রাজনৈতিক দখল নিতে অমিত শাহদের আগ্রাসী মনোভাব।

বস্তুত, কংগ্রেস-বিজেপির মতো জাতীয় দলে ভোট সর্বস্ব এহেন রাজনীতির সংস্কৃতি আগে ছিল না। অটল বিহারী বাজপেয়ী যেমন জাতীয় সংকটের সময়ে ভোটের কথা ভাবেননি, মনমোহন সিংহও তেমনই ছিলেন।

বরং এ ধরনের সংস্কৃতি দেখা গিয়েছে আঞ্চলিক নেতৃত্বের মধ্যে। তাঁরা লোকসভা ভোটে শেষ হলেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। তা শেষ হলেই পুরসভার ভোট নিয়ে পড়ে। আর তা মিটতে না মিটতেই বিধানসভা ভোটের জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে। কারণ আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে ক্ষমতায় টিকে থাকাটা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মতই হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুলে গেলে চলবে না মোদী-অমিত শাহরা দীর্ঘ সময় ধরে আঞ্চলিক রাজনীতিটাই করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here