দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ১৯এর ভোট বিপর্যয় নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “টোটালটাই হিন্দু মুসলমান হয়েছে”। পরে সেই সাংবাদিক বৈঠকেই কলকাতা পুরসভা আয়োজিক ইফতারের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিদি বলেছিলেন, “আমি যাব। কারণ আমি তো সংখ্যালঘু তোষণ করি। যে গরু দুধ দেয় তার লাথিও খাব”।

সে দিনের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে কলকাতা পুরসভার ইফতার আয়োজিত হয়নি। দিদির অন্য কর্মসূচির জন্য তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। আজ সোমবার সেই ইফতারে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, সে দিন সাংবাদিক বৈঠকে দিদি যা বলেছিলেন তা রাগের কথা। বিজেপি ও গেরুয়া শিবির বারবার সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই রাগেই ও কথা বলেছিলেন দিদি। কিন্তু তৃণমূল আদ্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ দল।

এ ব্যাপারে দলের স্লোগানও হল, ‘ধর্ম যাঁর যাঁর- উৎসব সবার’। বাংলায় দুর্গাপুজোয় যেমন কার্নিভাল হয়। তার আগে কলকাতায় অন্তত একশটি পুজো প্যান্ডল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেয় সরকার। তেমনই ইদে-ইফতারেও উপস্থিত থাকেন দিদি। ভুলে গেল চলবে না বড়দিনের রাতে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালের প্রার্থনা সভাতেও মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকেন।


পার্ক সার্কাস ময়দানে এ দিন পুরসভার ইফতারে দিদির পাশেই দেখা যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। একজন বৌদ্ধ পুরোহিতকেও দেখা যায় দিদির পাশে। রোজা শেষ করার পর আল্লাহ-র কাছে দোয়া করে ইফতার শুরু হয়। তবে আগে তৃণমূলের কলকাতার যে নেতা মন্ত্রীদের ইফতারে দেখা যেত, তাঁদের অনেকেরই মুখ অমিল ছিল সেখানে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here