দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার বিশেষ প্রকল্প “কর্মসাথী”-র কথা কিছু দিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সে প্রকল্পের সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন হল।

জানা গেছে, এমএসএমই দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, রাজ্যের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের যে কেউ নিজের কোম্পানি স্থাপন করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাবে। সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সফ্ট লোন দেওয়া হবে। অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ যে কেউ আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনপত্রের খতিয়ে দেখে, তদারকি করে ঋণদানের ব্যবস্থা করার জ‌ন্য প্রতি জেলায় নির্দিষ্ট ‘স্ক্রিনিং কমিটি’ করা হয়েছে। জেলাশাসকের পাশাপাশি জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, জেলা হ্যান্ডলুম অফিসার, মৎস্য, কৃষি বিপণন, উদ্যানপালন প্রভৃতি দফতরের আধিকারিকরা ওই কমিটিতে রয়েছেন। বুধবার হুগলিতে জেলাশাসকের দফতরে ওই কমিটির বৈঠক হয়েছে। কলকাতা পুরসভার আওতায় অবশ্য এই কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন এমএসএমই-র ডিরেক্টর।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম স্বপ্নের প্রকল্প এটি। মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসাথী প্রকল্প তরান্বিত করার জন্য নবান্নের নির্দেশে প্রতিটি জেলার জেলাশাসক জেলাস্তরে বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গতকালই হুগলি জেলার জেলাশাসক রত্নাকর রাও বৈঠক সেরে ফেলেছেন। লক্ষ্য একটাই, কর্মসাথী প্রকল্প আরও দ্রুত করে যুবসমাজকে স্বাবলম্বী করে তোলা।

সম্প্রতি করোনা সংকটে ও লকডাউনের জেরে সারা দেশেরই অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান তলানিতে। বহু মানুষ আর্থিক ভাবে পথে বসেছেন, এ রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। কারও ব্যবসা বন্ধ, কারও চাকরি গিয়েছে। নতুন চাকরির কোনও খবরই নেই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ যুব সমাজকে কাজের দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

এসময়ে যা যা জরুরি দরকার, যেমন মোবাইল ফোন সারানো, জামাকাপড় তৈরি, বিউটি পার্লার, মুদির দোকান, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সারাই, মিষ্টির দোকান, দুগ্ধজাত জিনিস তৈরি, পোলট্রি, মাছ চাষ— এসবের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীরা স্বনির্ভরতার রাস্তা খুঁজে পেতে পারেন।

জানা গেছে, নির্দিষ্ট ‘কর্ম সাথী’ পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে বা বিডিও কিংবা এসডিও দফতরে সশরীরে গিয়ে আবেদন করা যেতে পারে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, আবেদনের ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি ব্যাঙ্কঋণ মিলবে। মহিলা, তফসিলি, জাতি-উপজাতি, সংখ্যালঘু এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য কিছুটা বাড়তি সুবিধা থাকবে। রাজ্যের যে কোনও জেলার বাসিন্দারাই এই সুযোগ পাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here