দেশের সনয়ওয়েব ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, হু-কে আর সাহায্য করবেন না। বৃহস্পতিবার চিন জানিয়ে দিল, তারা হু-কে দেবে বাড়তি তিন কোটি ডলার।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং এদিন বলেন, “আমাদের দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হু-কে বাড়তি ৩ কোটি ডলার দেওয়া হবে। বিশ্ব জুড়ে কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য এর আগে আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ২ কোটি ডলার দেব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।”

পরে তিনি বলেন, “চিনের জনগণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি আস্থা রাখে। অতিমহামারী রোধে এই সংস্থা যে প্রয়াস চালাচ্ছে, তাতে সাহায্য করতে চায়। সেজন্য তাদের বাড়তি অর্থ দেওয়া হচ্ছে।”

ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্রতি বছর আমেরিকার করদাতাদের পক্ষ থেকে হু-কে ৪০-৫০ কোটি ডলার দেওয়া হয়। সেই তুলনায় চিন দেয় মাত্র ৪ কোটি ডলার।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, করোনাভাইরাস ছড়ানো ও মোকাবিলার ক্ষেত্রে চিনের পক্ষপাতিত্ব করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিন থেকে এই ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে। অথচ আগে থেকে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করার কোনও পরামর্শ দেয়নি হু। চিনের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে এই ভাইরাস অনেক কম ছড়াত বলেও দাবি ট্রাম্পের। এই ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশকে সঠিক তথ্য দেয়নি হু, এমনটাই অভিযোগ তাঁর।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ না মেনেই তিনি চিনের জন্য আমেরিকার বর্ডার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। নইলে আরও ক্ষতি হত। এর আগেও একাধিকবার করোনা সংক্রমণের জন্য চিনকে দায়ী করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, করোনা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য শেয়ার করছে না চিন। সে দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি কেউ জানে না। এই নিয়ে চিন ও আমেরিকার মধ্যে রীতিমতো বাগযুদ্ধ চলেছে। ফের সেই অভিযোগ তুললেন তিনি। সেইসঙ্গে এবার টেনে আনলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। ফান্ড বন্ধ করার হুমকিও দিলেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যকে ভালভাবে নেয়নি অনেক সংগঠনই। তাদের অভিযোগ, নিজের দেশে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ ট্রাম্প। যখন এই ভাইরাসের প্রকোপ কম ছিল, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া যেত। ট্রাম্প তখন একে সাধারণ ফ্লু-এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আমেরিকায় করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন ইমারজেন্সি জারি করেছেন তিনি। করোনা নিয়ে অন্য দেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে নিজের দেশে এই মহামারী কী ভাবে মোকাবিলা করা যাবে সেটা ট্রাম্পের চিন্তা করা উচিত বলেই মত তাদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here