দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ নতুন বছরের পঞ্চম দিনও শীতের আমেজ বাংলা জুড়ে। কিন্তু পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই বদলে যাবে আবহাওয়া, এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 
 

ডিসেম্বরের ঘাটতি জানুয়ারিতে ভালই পুষিয়ে নিচ্ছে শীত। নতুন বছরের প্রথম ক’দিনের শীতের দাপটে কেঁপে উঠছে হাড়। তবে খুব বেশিদিন শীতের এই বাড়বাড়ন্ত থাকবে না, জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ফের বৃষ্টি হবে কলকাতায়।

ঝঞ্ঝার বাধা রয়েছে। তবু ভরা পৌষে মাঠ ছাড়তে নারাজ শীত। তার জেরেই মঙ্গলবার কিছুটা তীব্র হয়েছে ঠান্ডার দাপট। আবহবিদদের মতে, এই লড়াই বেশি দিন টিকবে না। দু’দিন পর থেকেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের দাপট কমবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে শহরে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে শীতের দাপট অনেকটা কমে যাবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে। কনকনে ঠান্ডার বদলে জানুয়ারি মাসেও দাপিয়ে ব্যাটিং করবে বৃষ্টি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সামনের সপ্তাহে, এখন নয়। তার আগে এই ক’দিন ভালই ঠান্ডা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। জাঁকিয়ে শীতে কাঁপবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী ১২ জানুয়ারি নাগাদ ফের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। তাপমাত্রা বাড়বে বেশ কয়েক ডিগ্রি।

উত্তর পশ্চিম ভারতে অবস্থান করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার ফলে তৈরি হয়েছে একটি নিম্বচাপ অক্ষরেখা। এর ফলে ওই সমস্ত এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় হবে তুষারপাতও।

এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। তবে কলকাতার উপকণ্ঠে দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (১৩.১ ডিগ্রি) ছিল কলকাতার তুলনায় সামান্য বেশি। কাছেই ব্যারাকপুরের রাতের তাপমাত্রা অবশ্য নেমে গিয়েছে প্রায় ১১ ডিগ্রিতে। বনগাঁ ,বসিরহাট এবং বর্ধমানেও শীতের কাঁপুনি মিলেছে।

মঙ্গলবারের মতো বুধবার সকালেও ঘন কুয়াশায়  ঢেকেছিল শহর কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেটে যাবে কুয়াশা।

 আগামী তিনদিন  দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলা যেমন দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে কুয়াশার প্রভাব থাকবে। রাজ্যের বাদবাকি জেলাতে হালকা কুয়াশা দেখা যাবে।
 

শীতের দৌড়ে এ দিন শিলিগুড়ি(১১.৮ ডিগ্রি)। জলপাইগুড়ি (৯.৪) এবং কোচবিহার (৯.৩) পুরুলিয়ার রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৯ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। কাছেপিঠে রয়েছে বীরভূমের শ্রীনিকেতন এবং পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ও। ওই দুই জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালদহ এবং দিনাজপুরেও শীত জাঁকিয়ে বসেছে।

উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব শুরু হয়েছে। সেখানে পরপর দুটি ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়ার কথা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, প্রথম ঝঞ্ঝাটি দক্ষিণ রাজস্থানের উপরে রয়েছে এবং একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি করেছে। যার টানে আরব সাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তার ফলে আগামী দু’দিন উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং তার পরে মধ্য ভারতের একাংশে বৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার আরেকটি শক্তিশালী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে এবং তার প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের পাহাড়ি এলাকায় জোরালো তুষারপাত হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here