দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মনে পড়ে ৯/১১ কথা? মার্কিন মুলুকের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের স্মৃতি? মাঝ আকাশে প্লেন হাইজ্যাক করে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল আস্ত ইমারত। ২০০৯ সালের ঘটনা কি ফের ঘটবে আমেরিকায় (9/11)? এদিন সকালে মার্কিন পুলিশের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল এক উড়ো বার্তা। তাতে স্পষ্ট লেখা ছিল, বিমান দিয়ে মিসিসিপির ওয়ালমার্টের মতো শপিং মল উড়িয়ে দেওয়া হবে! এদিন সকাল থেকে মিসিসিপির আকাশে উড়তে দেখা গেছে একটি বিমানকে। যার গতিবিধি ছিল যথেষ্ট সন্দেজনক। তাই ওয়ালমার্ট ওড়ানোর হুমকিকে আর হালকা চালে নেয়নি মার্কিন পুলিশ ।

টুইট টাওয়ার ধ্বংসের মতো বড় হামলা ঠেকাতে তৎপর ছিল পুলিশ। শনিবার ভোরে পাওয়া হুমকি বার্তা থেকেই ঘুম উড়েছে পুলিশের। প্রশাসন কোনও রকম বড় হামলা চায় না। কিন্তু দেখা গেছে, এক পাইলট বিমান চুরি করে ওয়ালমার্ট ওড়ানোর হুমকি দিয়ে বসেছে। পুলিশের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় এমন হামলার সম্ভাবনার কথা।

নিজেরাও প্রস্তুত নেয়। প্রতি মুহূর্তের আপডেট নিতে তৈরি করা হয় ওয়ার রুম। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বিমান চালকের সন্ধান পেতে মরিয়া পুলিশ। তার মধ্যেই মিসিসিপির আকাশে চক্কর কাটতে দেখা গেছে ওই চুরি বিমানটিকে। ভয়ে তটস্থ হয়ে আছে মানুষ।

যদিও পুলিশ সান্ত্বনা দিচ্ছে। বারবার জানাচ্ছে, ‘সকলে সতর্ক থাকুন। অযথা ভয় পাবেন না। পুলিশ সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে।’ তবুও অনেকের কাছে এখনও ৯/১১ হামলার স্মৃতি টাটকা। তাই ভয় যেন কাটে না। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অবশেষে বিমানটিকে বাগে আনতে সফল হয় পুলিশ। বিশেষ কায়দায় মাটিতে নামানো হয় বিমানটিকে। গ্রেফতার করা হয়েছে পাইলটকে।

তবে কেন তিনি এমন করলেন? দুঁদে গোয়েন্দাদের হাজার প্রশ্নের সামনেও একটি বড় মুখ খোলেননি ওই বিমান চালক। এখনও জানা যায়নি ব্যক্তির পরিচয়। শুধু এইটুকু জানা গেছে, টুপেলা বিমানবন্দর থেকে একটি ছোট বিমান চুরি করেন ওই চালক। বিচক্র্যাফট কিং এয়ার ৯০ বিমানটি দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট নয় আসনের একটি বিমান। পুলিশ এখন সমানে ওই পাইলটকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করে চলেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here