অর্পিতা বনিক , বনগাঁ: উত্তর ২৪পরগনার যশোর রোডের দুই ধারে কয়েকশো শিরীষ গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কিছু গাছ মারা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার ধারে মরা গাছের শুকনো ডাল ঝুলছে। এর আগেও গাছের ডাল ভেঙে পথচলতি মানুষ জখম হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই মরা গাছ কেটে ফেলার দাবি আছে মানুষের।

যশোর রোডের মরা গাছের ডাল মাথায় পড়ে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে আগে। মৃত্যুও হয়েছে। বনগাঁর স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে মরা গাছ এবং গাছের শুকনো ডাল কাটার কাজ শুরুও হয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই৷

বৃহস্পতিবার বিএসএফ ক্যাম্প মোড় এলাকার বেশ কয়েকটি মৃত প্রায় শিরীষ গাছের শুকনো ডাল কেটে নামানো হলেও ওই এলাকা সহ গাইঘাটা পর্যন্ত শতাধিক গাছে রয়েছে শুকনো মরা ডাল যা এখনও যথেষ্ট বিপদজনক বলেই মনে করছেন স্থানীয় মানুষ৷

এ বিষয়ে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, বহু পুরোন এই সব গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যু হয়েছে পথ চলতি মানুষের , তাই যাতে আর কারও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে তার জন্য আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ মৃত গাছের শুকনো ডাল চিহ্নিত করে প্রায় ১৬০০ টি গাছের ডাল কেটে গাছের পরিচর্যার কাজ চলছে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে গাইঘাটা পর্যন্ত৷ কারণ বর্ষা আসছে , সেই সঙ্গে ঝড়েরও সম্ভাবনা থাকে এই সময়৷ তাই আগে থেকেই শতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে৷পেট্রাপোল থেকে গাইঘাটার কুলপুকুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পথে বিপজ্জনক ডাল কাটা হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গাঁছ বাঁচিয়ে এভাবে পথ চলতি মানুষের বিপদএড়ানোর চেষ্টা করার কাজ দেখে ভাললাগছে৷ বনগাঁ পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁরা৷

যশোর রোডের পাশে থাকা গাছের শুকনো মরা ডাল কেবল বনগাঁর মানুষের বিপদের কারণ নয়। পেট্রাপোল থেকে বারাসত পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথে এমন শুকনো, মরা ডাল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে। তবে কাঁচা ডাল ভাঙার ঘটনা কমই ঘটে। অনেক সময়ে কিছু ডাল বাইরে থেকে দেখতে কাঁচা হলেও ভিতরে ভিতরে ক্ষয় হয়ে আসে। এমন একটি ডাল ভেঙে পড়ে কিছু’দিন আগেই মারা যান গাইঘাটার চাঁদপাড়ার দুই বাসিন্দা।

ওই ঘটনার পরে বিপজ্জনক ডাল কাটার দাবি আরও জোরদার হয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশে ইতিমধ্যে বিপজ্জনক ডাল চিহ্নিত করার কাজ প্রায় শেষ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বিপজ্জনক ডাল শনাক্তকরণের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন সূত্রে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, বন দফতর, দমকল, বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানি লিমিটেড, পুলিশের প্রতিনিধিরা। যৌথভাবে কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে বনগাঁ পুরসভাসূত্রে৷

প্রকৃতিপ্রেমী দেবাশিষ রায়চৌধূরী বলেন,মরসুমের প্রথম বর্ষণের ছোঁয়াতেই শিরীষ গাছ সবুজ ক্যানভাস হয়ে ওঠে যশোর রোডে এবং এইসময় বৃষ্টি আনতে সাহায্য করে এই সব প্রাচীন গাছ৷ তবে গাছের পরিচর্যা শুরু হয়েছে শুনে ভাল লাগছে৷ দেখুন এই গাছেদের কে নিয়ে ভিডিও:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here