দেশের সময়: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে এবার হেভিওয়েটদের ভিড়। কাকে ছেড়ে কাকে সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচন করা হবে, তা বাছতে গিয়েই কালঘাম ছোটার জোগাড় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। আবার এতজন হেভিওয়েটের ভিড়ে এমন কাউকে সভাধিপতি করতে হবে, যাঁর নেতৃত্ব মেনে নেবেন বাকিরা। প্রশাসনের উপর রাশ থাকবে তাঁর। আবার জেলা পরিষদের অন্দরেও কোনও কোন্দল থাকবে না। এমন কাউকে বাছাই করতে গিয়েই নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে তৃণমূলের হাই কমান্ডকে। কিন্তু হেভিওয়েটের ভিড়ে নারায়ণ গোস্বামীই কি সভাধিপতি হতে চলেছেন? 

তৃণমূলের একটি সূত্র বলছে, আপাতত নারায়ণকেই সভাধিপতির চেয়ারে বসাতে চাইছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শেষ মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত বদলে যেতেও পারে, এমনটাও মনে করছে তারা।

বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের দলনেতা ঠিক করেছে তৃণমূল। জয়ী ৬৬ জন প্রার্থীর উপস্থিতিতে দলনেতা হয়েছেন বারাসত-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি আরশাদ উদ জামান। জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। দলনেতা নির্বাচনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী প্রমুখ। তাপস রায় বলেন, সবার মতামত নিয়েই আরশাদ উদ জামানকে জেলা পরিষদের দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়েছে শুক্র ও শনিবার। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন হবে সোমবার। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন ১৬ আগস্ট, বুধবার।  এবার জেলা পরিষদের ৬৬টি আসনের সবক’টিতেই জিতেছে তৃণমূল। রয়েছে অনেক নতুন মুখ। বিগত বছরগুলিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি আসনটি সংরক্ষণ ছিল। কিন্তু এবার তা নেই। ফলে যোগ্যতার নিরিখেই সভাধিপতি নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল।

জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি সহ আটজন কর্মাধ্যক্ষ এবারও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। ফলে এবার সভাধিপতির পাশাপাশি কারা কর্মাধ্যক্ষ হবেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। পদ পাওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তদ্বির চলছেই। অন্তত গতবার যে পদ ছিল, সেটাই ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিদায়ী কর্মাধক্ষরা।

জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তথা স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল এবারও জয়ী হয়েছেন। একইভাবে জিতেছেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এছাড়াও জিতেছেন বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী, রেহেনা খাতুন, প্রবীর ঘোষ, দীপক লাহিড়ি, এ কে এম ফারহাদ, জাহানারা বেগম, বুরহানুল মুকাদ্দিমরা।

জেলা পরিষদের টিকিটে জিতে এসেছেন বারাসত -১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি আরশাদ উদজামান, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মফিদুল হক শাহজি, বারাকপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রিয়া ঘোষ, হাবড়া-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অজিত সাহা এবং হিঙ্গলগঞ্জের প্রাক্তন অর্চনা মৃধা। এছাড়াও বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি) জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছেন। মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল, সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ সাহজাহান, বাগদার বিধায়ক তথা দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ছেলে শুভজিতকেও এবার দেখা যাবে জেলা পরিষদে। 

জিতেছেন মতুয়া সমাজেরও বেশ কয়েকজন। লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে মতুয়া সমাজ থেকে জয়ীদের কর্মাধ্যক্ষ করা হতে পারে। কিন্তু সমস্যা একটাই, ৬৬ জনের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে মাত্র ৯ জনকে। 

আসনটি সংরক্ষণ ছিল। কিন্তু এবার তা নেই। ফলে যোগ্যতার নিরিখেই সভাধিপতি নির্বাচন করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল।

জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি সহ আটজন কর্মাধ্যক্ষ এবারও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। ফলে এবার সভাধিপতির পাশাপাশি কারা কর্মাধ্যক্ষ হবেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। পদ পাওয়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে তদ্বির চলছেই। অন্তত গতবার যে পদ ছিল, সেটাই ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিদায়ী কর্মাধক্ষরা।

জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি তথা স্বরূপনগরের বিধায়ক বীণা মণ্ডল এবারও জয়ী হয়েছেন। একইভাবে জিতেছেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এছাড়াও জিতেছেন বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী, রেহেনা খাতুন, প্রবীর ঘোষ, দীপক লাহিড়ি, এ কে এম ফারহাদ, জাহানারা বেগম, বুরহানুল মুকাদ্দিমরা।

জেলা পরিষদের টিকিটে জিতে এসেছেন বারাসত -১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি আরশাদ উদজামান, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মফিদুল হক শাহজি, বারাকপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রিয়া ঘোষ, হাবড়া-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি অজিত সাহা এবং হিঙ্গলগঞ্জের প্রাক্তন অর্চনা মৃধা। এছাড়াও বসিরহাট উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা (রনি) জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছেন। মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল, সন্দেশখালির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা শেখ সাহজাহান, বাগদার বিধায়ক তথা দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ছেলে শুভজিতকেও এবার দেখা যাবে জেলা পরিষদে।

জিতেছেন মতুয়া সমাজেরও বেশ কয়েকজন। লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে মতুয়া সমাজ থেকে জয়ীদের কর্মাধ্যক্ষ করা হতে পারে। কিন্তু সমস্যা একটাই, ৬৬ জনের মধ্যে থেকে বেছে নিতে হবে মাত্র ৯ জনকে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here