দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় স্বস্তি রাজ্যের। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। এদিন হাইকোর্ট জানিয়েছে, তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট আদালত। এরই সঙ্গে জানানো হয়েছে তালিকা প্রকাশের পরে কোনও অভিযোগ থাকলে এবার থেকে পদক্ষেপ নেবে এসএসসি। অভিযোগ থাকলে তা জানাতে হবে এসএসসির কাছেই। তা খতিয়ে দেখে আবেদনকারীকে ডেকে শুনানি করে ব্যবস্থা নেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তার ভিত্তিতে নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল। এবার তা উঠে গেল।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে প্রথা মেনেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আগামী ১২ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ২০১৬ সালের তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ হবে। যেহেতু গোটা প্রক্রিয়া দেরি করে হচ্ছে, তাই চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে হবে অন্তত ৫ বছর, জানিয়েছে উচ্চ আদালত।

এদিন আদালতের বিচারপতি জানান, রাজ্যে বহু চাকরিপ্রার্থী আছেন যাঁরা এই চাকরির দিকে তাকিয়ে আছেন। আশা করে বসে আছেন। আর তাঁকে অপেক্ষা করানো যাবে না। এরপরও যাঁরা নিয়োগ নিয়ে মামলা করেছেন, তাঁদের আলাদা করে ডেকে কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। আলাদা করে সমস্ত অভিযোগ শুনতে হবে।

রাজ্য সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
গতকাল উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ তালিকা নতুন করে প্রকাশ করেছিল এসএসসি। সেখানে যোগ্য প্রার্থীদের নামের সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছিল প্রাপ্ত নম্বরও। এছাড়া যাঁরা মেধাতালিকায় সুযোগ পাননি, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছিল কমিশনের তরফে।

কিন্তু অনিশ্চয়তার মধ্যেই শুক্রবার সকালে ১৩৬ জন উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক পদপ্রার্থীর ইন্টারভিউ তালিকার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জে করে ফের মামলা রুজু হয় হাইকোর্টে। অভিযোগ, এই তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে মানা হয়নি ২০১৯ সালের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশ। ফলে স্বচ্ছ ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বলেই দাবি ১৩৬ জন চাকরিপ্রার্থীর।

কোনও অভিযোগ থাকলে দুই সপ্তাহের মধ্যে তা জানাতে হবে এবং অভিযোগ পাওয়ার ১০ সপ্তাহের মধ্যে তার নিষ্পত্তি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে তাতেও সন্তুষ্ট না হলে আদালতের দরজা খোলা থাকছে।

এদিন সকালে উচ্চ প্রাথমিকে প্রকাশিত তালিকা নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয় সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যোগ্যতার প্রমানপত্র আপলোড করা সত্ত্বেও অনেককে বলা হচ্ছে সেগুলি আপলোড হয়নি। এরই সঙ্গে অ্যাকাডেমিক স্কোরেও কম-বেশি করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আর থামিয়ে রাখতে রাজি নয় আদালত। তাই স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে নিয়োগ শুরু করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here