অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: চতুর্থীর সন্ধেতেই কলকাতাকে টেক্কা দিয়ে পুণ্যার্থীদের ঢল নামল বনগাঁয়। বোধনের আগেই শুরু হয়ে গেল পুজো। বেজে উঠল ঢাক। আলোর গয়নায় সেজে উঠেছে শহর। নতুন জামাকাপড় পরে ইছামতী নদীর দু’পারে , সর্বত্র মণ্ডপ আর প্রতিমা দর্শনে ছুটে গেছেন উৎসাহীরা। দেখুন ভিডিও:

গ্রামের মানুষ থেকে শহরের বাসিন্দা, পা মিলিয়েছেন সকলেই। ফলে বিকেল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় বেড়েছে। চতুর্থীতেও অনেক পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। যেমন বনগাঁ মতিগঞ্জের ঐক্যসন্মেলনী পুজো মন্ডপ উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা সাংসদ শান্তুনু ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন সুব্রত ঠাকুর৷

এবারে ঐক্য সন্মেলনীর থিম ‘ ’ সন্ধে থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে দর্শনার্থীদের। অনেকেই রাতে গাড়ি নিয়ে পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়েন।

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারতে দোকানে দোকানেও ছিল লাইন। থিমের সঙ্গে সাবেকিয়ানা, জমে উঠেছে এবারের পুজোর লড়াই। আয়োজনে পরস্পর পরস্পরকে টেক্কা দিতে কেউ চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি।

ক্লাবের কর্ণধার দেবদাস মন্ডল বলেন, ঐক্যসন্মেলনী ক্লাব বনগাঁর মানুষের ক্লাব এই পুজো আমার নয়,এই পুজো বনগাঁর প্রতিটি মানুষের ৷ এবারের থিম রামায়ণ৷

এদিকে ,এবার পুজোয় ‘‌অসুর’‌ হতে পারে বৃষ্টি। এই আশঙ্কাটা সকলের মধ্যেই কাজ করছে। ফলে শহরের বাইরের বা শহরের বাসিন্দা প্রতি বছর যাঁরা পুজো দেখতে বেরোন তাঁরা অনুকূল আবহাওয়ার সুযোগ পেয়ে এদিন বিকেলেই পুজোদর্শনে বেরিয়ে পড়েন। আবার পঞ্চমী বা ষষ্ঠীতে যাঁরা বেড়াতে যাওয়ার ট্রেন বা বিমান ধরবেন, এদিন তাঁরাও পুজো দেখার কাজটি সেরে ফেলেছেন।

বিকেল থেকেই হেঁটে বা গাড়ি নিয়ে পুজো দেখতে বেরিয়ে পড়েন দর্শনার্থীরা। রাস্তায় রাস্তায় ছিল গাড়ির লম্বা লাইন। স্বল্প দূরত্বের মধ্যে পুজো দেখতে দর্শনার্থীরা যেমন হাঁটাপথে রওনা দিয়েছেন, তেমনি দূরের পুজো দেখতে ভরসা করেছেন রুটের বাস ও বেক্তিগত গাড়ী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here