দেশের সময় , ওয়েবডেস্কঃ অনেটা দূর থেকেই চালক দেখছিলেন ষাঁড় রেললাইন পার হচ্ছে। হর্নও বাজাতে শুরু করেন ট্রেনের চালক। ততক্ষণে ট্রেনও কাছে চলে আসে। ব্রেক কষা সম্ভব ছিল না। ষাঁড়ের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে ট্রেনের। কিন্তু তারপরে যা ঘটল!

স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে, ষাঁড়টির মৃত্যু হয়েছে, কিংবা অবস্থা আশঙ্কজনক! হ্যাঁ, ষাঁড়টির মৃত্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু ষাঁড়টিকে ধাক্কা মেরে বিকল হয়ে পড়ে ট্রেনটিও। ট্রেনে দেখা দেয় যান্ত্রিক গোলোযোগ। ট্রেন থেমে থাকে লাইনের ওপরে। ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। রেলের চাকা গড়ায় না এক ফোঁটাও। পিছনের স্টেশনগুলিতে ততক্ষণে ট্রেনের লাইন বাড়তে থাকে। সপ্তাহের শুরুতেই ভয়ঙ্কর বিভ্রাট বনগাঁ লাইনের সংহতি স্টেশনে। ডাউন মাঝেরহাট লোকাল আসছিল। সেই ট্রেনই ধাক্কা মারে ষাঁড়টিকে।


রেলের যাত্রীদের কথায়,, চালক ব্রেক কষেছিলেন। তবে সেটা যে ভয়ঙ্কর ছিল, তেমনটা নয়। যাত্রীদের মধ্যে তার কোনও প্রভাব পড়েনি। ট্রেনটা ততক্ষণে থেমে যায়। প্রথমে যাত্রীরা বুঝতেই পারেননি কী হয়েছে। সিগন্যালে দাঁড়িয়েছে ট্রেন। কিন্তু তেমনটা নয়। সময় পেরলেও ট্রেন থেমে থাকে দীর্ঘক্ষণ।

বগি থেকে ততক্ষণে লাইনে নেমে পড়েন অনেক যাত্রী। তাঁরা লাইন ধরে এগিয়ে দেখেন, একটি ষাঁড় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বিপদ বোঝেন তখনই। ভেবেছিলেন যাত্রীরা, ষাঁড়টির দেহ সরিয়ে নিলে ট্রেন চলবে। কিন্তু তখনও তাঁরা বোঝেননি, ট্রেনই যে বিকল হয়ে পড়েছে।

স্টেশনে যাত্রীরা নেমে পড়েন। রেলের তরফে শুরু হয় মাইকিং। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ডাউন বনগাঁ-শিয়ালদা লাইনে একের পর এক ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। স্টেশনে স্টেশনে কোন ট্রেন এক ঘণ্টা, কোনও ট্রেন ৪৫ মিনিট বা কোনও ট্রেন ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে আছে। অফিস সময়ে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে।

রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। ষাঁড়টির দেহও সরিয়ে নিয়ে যাওরা চেষ্টা চলছে। এক যাত্রী বললেন, “প্রথমে বুঝিনি কী হয়েছে। ভেবেছি ট্রেন সিগন্যালে আটকে। ট্রেন অবরোধে দাঁড়ায়, তবে ষাঁড়কে ধাক্কা মেরে ট্রেন খারাপ হয়ে যাওয়ার খবর আগে শুনিনি। এই অভিজ্ঞতা আমাদের প্রথম ।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here