দেশের সময় বনগাঁ: রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী দলগুলি বিঁধতে শুরু করেছে শাসক শিবিরকে। আর তৃণমূলও এই সবের থেকে নিজেদের দূরত্ব বোঝাতে সদাব্যস্ত। সাম্প্রতিক অতীতে তৃণমূল শিবির থেকে বার বার বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, দুর্নীতিতে কেউ জড়িত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। এবার সেই একই কথা শোনা গেল তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের গলায়। বুঝিয়ে দিলেন, দলে দুর্নীতিগ্রস্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। বনগাঁয় দলের বিজয়ার সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, “অনেক জায়গায় হয়ত কিছু কিছু জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আপনাদের অভিমান থাকতে পারে। আমি আজ এই মঞ্চ থেকে করজোড়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। যদি কেউ ভুল করে থাকে, তার জন্য আপনারা ভুল করবেন না। আগামী দিনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন মানুষকে প্রার্থী করা হবে। আপনারা ঠিক করে দেবেন, আগামী দিনে পঞ্চায়েতে কাদের প্রার্থী করা হবে। কোনও দুর্নীতিপরায়ণ মানুষের তৃণমূল কংগ্রেসে এতটুকু জায়গা দেওয়া হবে না। আমার কোনও সহকর্মী যদি কোনও ভুল করে থাকে, তার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আমরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি মঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে। আমরা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন প্রশাসন আপনাদের উপহার দেব।”

উল্লেখ্য, এদিন বনগাঁর ওই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীও। তিনি আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলার সময়, লতা মঙ্গেশকর, সচিন তেন্ডুলকরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “ভগবান লতা মঙ্গেশকর বা সচিন টেন্ডুলকরকে যেরকম একটি উদ্দেশ্যে জন্ম দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের সেবা করতে জন্ম দিয়েছেন।”

যদিও বিজেপির বনগাঁ জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল এই বিষয়ে বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করতে গেলে কম্বলে পশম বাছার মতো ঘটনা ঘটবে।”  পাশাপাশি, রাজ চক্রবর্তীর মন্তব্য় প্রসঙ্গেও তাঁর প্রতিক্রিয়া, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মার্ক বাড়ানোর জন্য এই ধরনের কথা বলছেন বিধায়ক।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here