দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের অভিশপ্ত পুলওয়ামায় ফের সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, পুওয়ামার লারো-পারিগাম এলাকায় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। কাশ্মীর জোনের পুলিশ জানিয়েছে, পুলওয়ামার লারো ও পারিগাম এলাকায় এই সংঘর্ষ চলছে।

কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা যে ফের শুরু হয়েছে তা সেনা সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল। কাশ্মীর জোনের পুলিশ সূত্রে খবর, পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি গাড়ার ব্যাপারে তাদের কাছে আগাম খবর ছিল। রবিবার পরিকল্পনা মাফিক সেখানে অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তার পর থেকেই পুরোদস্তুর গুলির লড়াই চলছে।
গত দু’সপ্তাহ আগে কাশ্মীরের রাজৌরি জেলায় এক সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে মারে নিরাপত্তাবাহিনী।

কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, পুওয়ামার লারো-পারিগাম এলাকায় পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।

রাজৌরিতে ও জঙ্গির গা ঢাকা দেওয়ার ব্যাপারে সেনা গোয়েন্দার কাছে আগাম তথ্য ছিল। তার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ৫ অগস্ট যৌথ অভিযান চালায়।

রাজৌরিতে ওই অপারেশনের একদিন আগে কুলগামে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ভারতীয় সেনার তিন জওয়ান। জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে উপত্যকা জুড়ে চিরুনি তল্লাশিতে তার আগেই নেমে পড়েছিল সেনাবাহিনী। কুলগামের হালানের জঙ্গলেও তল্লাশি শুরু হয়। সেনার কাছে খবর ছিল, দক্ষিণ কাশ্মীরেও সন্ত্রাসবাদীরা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে।


এই তল্লাশি চালাতে গিয়েই সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে তিন জওয়ানের মৃত্যু হয়।


২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় বড় রকমের জঙ্গি হানা ঘটেছিল। শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়ক দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ি যাওয়ার সময়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। ওই জঙ্গি হানায় সিআরপিএফের চল্লিশ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

পুলওয়ামায় ওই হামলার পরই পাল্টা অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হানা চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে দেওয়া হয়। তার পর থেকে কাশ্মীরে বড় কোনও জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেনি। তবে রবিবার ফের শিরোনামে উঠে এলো পুলওয়ামা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here