আর দশ দিন পেরলেই পুজো ৷ দুই দিন হলো ঘনঘোর বর্ষার জের কাটিয়ে সূর্যের মুখ দেখছে শহর কলকাতা ৷ প্রতিমা তৈরির কাজে এই অকালের বর্ষা খুবই ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। সম্প্রতি কুমোরটুলির অবস্থা দেখতে পৌঁছে গেছিল দেশের সময়-এর আলোকচিত্রী –

শম্পা গুহ মজুমদার

মৃৎশিল্পের এই আঁতুড় ঘরের সরু সরু অলিগলির দুই পাশে অসংখ্য কর্মশালা। খুব ভালো ভাবে প্লাস্টিকের আচ্ছাদনে ঢাকা রয়েছে কর্মশালার প্রবেশ পথ। অন্ধকার আলো আঁধারিতেই শিল্পীর হাতে ধীরে ধীরে মা দুর্গার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। নানান স্তরে কাজ কর্ম চলছে।

খড়ের কাঠামো, কাঁচা মাটির প্রলেপ দেওয়া মূর্তির সঙ্গে আধা-রঙ করা প্রতিমা যেমন রয়েছে সেরকম প্রায় সম্পূর্ণ প্রতিমাও চোখে পড়বে। অসাধারণ এই শিল্পকর্ম বিস্মিত হয়ে দেখতে হবে। সখের ফোটোগ্রাফারদের দৌরাত্বে কর্মশালার ভেতরে প্রবেশ নিষেধ।

প্লাস্টিকের ফাঁকফোঁকর দিয়েই ছবি তোলা চলছে। মাটির প্রতিমা দর্শনের সাথে সাথে জ্যান্ত মা দুর্গাদের ভিড় চোখে পড়ার মতন । রোদের উত্তাপ আর দমবন্ধ ঘেমো গরম উপেক্ষা করে জমকালো শাড়ি, খোলাচুল ও গহনা পরিহিত দুর্গাদের ফোটোসেশনে সরগরম কুমারটুলি। তবে ভিডিও রীল করার হিড়িকে শিল্পীদের নাভিশ্বাস অবস্থা। ভিড়ভাট্টার কথা না ভেবে অসাধারণ এই শিল্পের স্বাদ নিতে হলে অবশ্যই পৌঁছে যান কুমোরটুলির অন্দরমহলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here