Photo Story ছবির গল্প:

রাস্তাঘাটে এমন অনেক দৃশ্য চোখে পড়ে যার মধ্যে কোনও একটা গল্প লুকিয়ে থাকে। তা আনন্দ বা কষ্টেরও হতে পারে। আবার অনুপ্রেরণা বা সাফল্যেরও। আপনার দূরদর্শিতাই বলে দেবে আপনি এক জন ভাল ফোটোগ্রাফার। একটা ছবির মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক না-বলা কথা। একটা ছবি হয়ে উঠতে পারে যোগাযোগের মাধ্যম। একটা মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি হয়ে অনন্তের দিকে ধাবিত হয়। ক্যামেরা বা লেন্স উন্নতমানের হলেই যে ভাল ছবি আসবে, তা নয়। ফোটোগ্রাফিক সেন্স থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। একটা দৃশ্য নানা দিক থেকে নানারকম দেখায়। আপনার দেখার চোখই বলে দেবে ঠিক কোন জায়গা থেকে সেরা ছবিটি উঠবে। যাঁরা মুহূর্তকে লেন্সবন্দি করতে ভালবাসেন, তাঁরা নিশ্চয়ই চান, তাঁদের তোলা ছবিটি হয়ে উঠুক পিকচার পারফেক্ট। সেই সমস্ত ফোটোগ্রাফার দের জন্য দেশের সময়- এর উপস্থাপনা “ছবির গল্প”।” তাহলে আর অপেক্ষা কেন! আপনার তোলা প্রিয় ছবিগুলির সঙ্গে গল্প লিখে পাঠিয়ে দিন ” দেশের সময়” এর দফতরে : e-mail- deshersamay@deshersamay@gmail

আগের রাতে বৃষ্টি হ’ল। সকালে যখন বনগাঁ হাইস্কুল মাঠে গেলাম, মাটি ভিজে নরম হয়ে রয়েছে। কিন্তু আকাশে সূর্য কড়া।

আমগাছতলায় সবাই গোল হয়ে দাঁড়িয়ে গান হ’ল। কবিতা, কথাও। গাছ আমরা ফুলেরই সব যোগাড় করেছিলাম। অমলতাস, জারুল, করৌঞ্জ, ফাগুন বউ আর আনন্দী। শেষের দুটো বিদেশী গাছ।

টেবেবুইয়া অওরা আর টেবেবুইয়া রোসিয়া। বিভাসদাকে এই গাছদুটোর নামকরণ করতে বলেছিলাম। বিভাসদা বললো, দাঁড়াও দাঁড়াও, আমি এই হলুদ ফুলটা শান্তিনিকেতনে দেখেছি। আমার কাছে ছবিও তোলা আছে।

কবিগুরু সারা দুনিয়ার গাছ এনে আশ্রমে লাগিয়েছিলেন। নিশ্চয়ই নামকরণও করেছিলেন। একটু পরে শান্তিনিকেতন থেকে জেনে বললো, ফাগুন বউ নাম রেখেছিলেন কবি। আর একটা গাছের নাম বিভাসদা দিল আনন্দী।


আমাদের তখন কি আনন্দ! একটা একটা করে গাছের গোড়া নেমে যাচ্ছে মাটির তলায়। গীটার বাজছে। গান গাইছে কেউ কেউ। মায়াময় সব মানুষদের হাতে রোপিত হচ্ছে আগামী দিনের তাজা ফুলের ঠিকানা। ঠিক তখনই বৃষ্টি নামলো। সন্ধ্যেবেলায় যখন বাড়ি ফিরলাম ততক্ষণে আঠাশটি গাছ লাগানো হয়ে গেছে। রোপণ করেছে মানুষ, জল দিয়েছে আকাশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here