দেশের সময়: প্রথমে স্ত্রীকে, তারপর একে একে সন্তানদের কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দিল্লি মেট্রোর এক কর্মীর বিরুদ্ধে। স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করার পর ঘরে কম্পিউটার চালিয়ে কীভাবে গলায় ফাঁস দিতে হয়, ইন্টারনেটে তার পাঠ নেন তিনি।

অফিসে আসতে দেরি হচ্ছে দেখে ঠিক সেই সময় ফোন করেন এক সহকর্মী। তাঁর ফোন পেয়েই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন অভিযুক্ত। চিৎকার করে বলেন, সবাইকে মেরে ফেলেছি আমি। কেউ বেঁচে নেই। ফোনের অপরপ্রান্তে সহকর্মীর মুখে এমন কথা শুনেই ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন, কিছু একটা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন করে খবর দেন পুলিশকে। তড়িঘড়ি পুলিশ পূর্ব দিল্লির জ্যোতি কলোনিতে ওই ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছন।

কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মেট্রোরেলের ওই কর্মীকে। পাশেই পড়েছিল তাঁর স্ত্রী ৪০ বছরের অনুরাধা, ছ’বছরের মেয়ে অদিতির দেহ। মারাত্মক জখম অবস্থায় ছটফট করছিল অভিযুক্তর ১৩ বছরের ছেলে যুবরাজ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হওয়া ওই ব্যক্তির নাম সুশীল কুমার। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তিনি দিল্লি মেট্রোতে সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন। কিন্তু ঠিক কী কারণে স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে তিনি আত্মঘাতী হলেন, তা জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

শাহদারার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রোহিত মীনা বলেছেন, ফোনে এক ব্যক্তি খবর দেন, তাঁর সহকর্মী অফিসে আসেননি। এজন্য তিনি তাঁকে ফোন করেছিলেন। ফোন করতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তি তাঁকে জানান, তিনি সবাইকে মেরে ফেলেছেন। এই খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখান থেকে তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here