দেশের সময় ওয়েবডেস্ক:‌ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়। তৃতীয় বার বাংলায় ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দলের প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক। নির্বাচনে সাফল্যের দায় অনেকটাই বর্তায় পিকের ওপরও। এর পর আগরতলা, গোয়ায় তৃণমূলের প্রচারের দায়িত্বও সামলাতে শুরু করে আইপ্যাক। 

সুর কাটে রাজ্যে পুরভোটের আগে। জল্পনা শুরু হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কে চিরতরে ফাটল ধরেছে পিকের। এবার শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে ফের এক মঞ্চে এলেন মমতা আর পিকে।

মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে ছিল তৃণমূলের বর্ধিত রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই অনুষ্ঠানেই মঞ্চেই তৃণমূল সুপ্রিমো এবং শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা গেল প্রশান্ত কিশোরকে। মনে রাখতে হবে, এটি ছিল দলের সাংগঠনিক বৈঠক। সেখানেই প্রশান্ত কিশোরের উপস্থিতি অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,রাজ্যে ১০৮ পুরসভার ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সি। এর পরেই তৃণমূলের ওয়েবসাইটে দেখা প্রকাশিত হয় প্রার্থী তালিকা। সেই তালিকার সঙ্গে পার্থ–সুব্রতর প্রকাশিত তালিকার ফারাক ছিল অনেকই। সেই নিয়েও জেলায় জেলায় শুরু হয় সোর গোল। 

আঙুল ওঠে আইপ্যাক–এর দিকে। বলা হয়, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ওই তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থা। নেত্রী মমতা জানিয়ে দেন, পার্থ এবং সুব্রতই সি করা তালিকাই চূড়ান্ত। এর পরেই আইপ্যাক–এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলের প্রবীণ নেতারা। 

তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল ‘‌অপব্যবহার’‌ করেছে সংস্থা। এই আইপ্যাক–এর সঙ্গে তৃণমূলের লিয়াজোঁ ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁক ‘‌এক নেতা এক পদ ‌নীতিও সমালোচিত হয়। এর পরেই মাঠে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, দলের সঙ্গে আইপ্যাক–এর সম্পর্ক কী হবে, তা তিনি নির্ধারণ করবেন। আইপ্যাক–এর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই

সেটাই কি তিনি নিয়ে ফেলেছেন?‌ তাই আজ দলের সাংগঠনিক বৈঠকের মঞ্চে পিকে?‌ উত্তরটা যদিও এখনও স্পষ্ট নয়। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here