দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শিয়রে পুর ভোট কড়া নাড়ছে৷ এই আবহে বুধবার উত্তর ২৪ পরগনায় মধ্যমগ্রামের নজরুল শতবার্ষিকী সদনের প্রশাসনিক বৈঠকে পুরসভার নাম বলে বলে প্রশাসকদের একরকম তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশাসনিক বৈঠকে পূর্ত দফতরের কাজ নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, পুূর্ত দফতরের নাম হওয়া উচিত হেলদোল দফতর৷ কারণ তারা সব কাজই ধীর গতিতে করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা৷ এ দিন উত্তর চব্বিশ পরগণার মধ্যমগ্রামে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি৷

পুরসভাগুলির কাজেও এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরভোটের আগে প্রতি পুরসভায় পর্যবেক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকেই বারাসত-হাবড়ার এক নেতাঁকে তিনি বলেন, “একসময় গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমিও ইট পেতেছি।” 

তাঁর অভিযোগ, পুরসভাগুলি ঠিক মতো মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছে না৷ প্রতিটি পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

প্রথা মতোই এ দিন উত্তর চব্বিশ পরগণার বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তখনই চাকলা এবং কচুয়ায় লোকনাথ মন্দিরের কাজ নিয়ে খোঁজ খবর নেন তিনি৷ তখনই তাঁকে জানানো হয়, কাজ এগোচ্ছে ধীর গতিতে৷ এতেই ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘অল্প অল্প করে কেন করছে? টাকা তো দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কাজটা পর্যটন দফতর করছে কি?’ মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, কাজ করছে পূর্ত দফতর৷ তা শুনেই কটাক্ষের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ত দফতর তো ওরকমই হেলেদুলে চলে৷ ওদের নাম দেওয়া হয়েছে হেলদোল দফতর৷ টাকা দিয়ে দিয়েছি কাজ হবে না কেন?

শুধু পূর্ত দফতর নয়, এ দিন পুরসভাগুলির কাজ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ, পুরসভার দায়িত্বে থাকা প্রশাসক বা চেয়ারম্যানরা নিজেদের এলাকায় যাচ্ছেন না৷ পুর প্রকল্পগুলিও ঠিক মতো এগোচ্ছে না৷ সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে প্রতিটি পুরসভায় একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যে পুরসভাগুলি ভাল কাজ করবে, তাদের পুরস্কৃত করার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে প্রত্যেকটি বাড়িতে যাতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়, এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে সেই নির্দেশও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন বনগাঁর পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠকে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন গোপাল তোমার বাড়ির সবাই ভাল আছেতো? বনগাঁর কাঁচা গোল্লা খাচ্ছো? “উত্তরে গোপাল বাবু বলেন দিদি আপনার জন্য পাঠাবো ” ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেসে বলেন না না..। পাশাপাশি বনগাঁ শহরের জানজটের সমস্যার কারণ হিসাবে বাংলাদেশ পণ্য বোঝাই ট্রাক নিচ্ছে কম সংখ্যক এবং সেই বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার একটি বৈঠক করা হয় পেট্রাপোল সীমান্তে এবং বাংলাদেশ যাতে বেশি করে ট্রাক সে দেশে ঢোকায় তার চেষ্টা করেছেন বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান গোপাল শেঠ। বিষয়টি ডিজিকে দেখতে বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

এদিন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তার পরই জানতে চান, ‘‘বিশ্বজিৎ তোর মধ্যপ্রদেশ বাড়ছে কেন?’’ বিশ্বজিৎ জবাব দেন, ‘‘দিদি খেলা ছেড়ে দিয়েছি তাই।’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘খেলা ছেড়ে দিলি কেন, খেলাধুলো ছাড়া যাবে না।’’ হাবড়ার বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

https://fb.watch/9kSNzbON2P/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here