হীয়া রায়, দেশের সময়

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক : প্রথম দিনেই ফাঁস মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র! পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েকজনের মোবাইলে পৌঁছে গেল প্রথম ভাষার প্রশ্নপত্র।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে খবর যেতেই তৎপর হয় পর্ষদ। দ্রুত খোঁজ চলে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের খুঁজে বের করা হয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। কাদের মাধ্যমে ওই প্রশ্ন সামনে এসেছে, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে ২ জন পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত করেছে পর্ষদ। তাঁদের পরীক্ষা বাতিল হতে পারে, এমন চিন্তাভাবনাও করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে, আসল প্রশ্নপত্র ও ভাইরাল প্রশ্নপত্রের ছবি হুবহু একই। জানা গিয়েছে, ওই প্রশ্নপত্রে ছিল কিউ আর কোড। সেই কোড দেখেই পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে, সেটি প্রশ্নপত্রের দ্বিতীয় পাতার ছবি। সেখানে ১.১৩ থেকে শুরু করে ২.১.২ পর্যন্ত প্রশ্নগুলি দেখা যাচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালীন এই প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখে পর্ষদ। আর পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরাই স্বীকার করে নেন ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্রে যে সব প্রশ্ন ছিল, সেগুলিই এসেছিল পরীক্ষায়।

মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এবার একাধিক সতর্কতা নিয়েছিল পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে লাগানো হয়েছে সিসিটিভিও। তার মধ্যেই কীভাবে এই প্রশ্নপত্র বাইরে এল, তা বুঝতে পারছেন না বোর্ডের আধিকারিকরাও। উল্লেখ্য, প্রশ্নপত্রে কিউ আর কোডের ব্যবহার এবারই প্রথম করা হয়েছে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য পৃথক পৃথক কোড রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , পরীক্ষার্থীদের জন্য আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।

সেই বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনভিজিলেটরদের একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে তাঁরা যেন প্রশ্নপত্র বিলি করার আগে পরীক্ষার্থীদের একটি বিষয় স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বলেন। কী বোঝানোর কথা বলা হয়েছে?

প্রশ্নপত্রের প্রতিটি পাতায় প্রশ্নপত্রের ক্রমিক নম্বরের কোড লুকনো রয়েছে। কেউ পাতার ছবি তুললে সেই ছবি দেখে বোঝা যাবে কে ছবিটি তুলেছে। তা জানা গেলে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা সেই বছরের জন্য পুরোপুরি বাতিল হয়ে যাবে- এমনটাই পরীক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলার জন্য পরীক্ষা হলের গার্ডদের বলা হয়েছে। পরপর কয়েক বছর ধরে বারবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে এসেছে। বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেটি আটকাতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এবার একাধিক সতর্কতা নিয়েছিল পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে লাগানো হয়েছে সিসিটিভিও। তার মধ্যেই কীভাবে এই প্রশ্নপত্র বাইরে এল, তা বুঝতে পারছেন না বোর্ডের আধিকারিকরাও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here