দেশের সময় ওয়েবডেস্ক : ২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর, মুখ্যমন্ত্রী পেল ঝাড়খণ্ড। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন জেএমএম নেতা তথা দলের সহ সভাপতি চম্পই সোরেন। শুক্রবার রাঁচীর রাজভবনে চম্পইকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। নয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কংগ্রেস বিধায়ক তথা দলের পরিষদীয় নেতা আলমগির আলম এবং লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির সত্যানন্দ ভোগতা। আলমগির এবং সত্যানন্দ, দু’জনেই আগে হেমন্ত সোরেন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তাতে প্রাথমিক ভাবে সে রাজ্যের টালবাহানার অবসান বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বিহারের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের রেশ কাটার আগেই বদলে যায় ঝাড়খণ্ডের পরিস্থিতি। জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেপ্তার করে হেমন্ত সোরেনকে। তার আগে পর্যন্ত সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে ছিলেন হেমন্ত। গেপ্তারির আগে রাজভবনে গিয়ে জমা দেন নিজের ইস্তফা পত্র। ঠিক হয় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন চম্পাই সোরেন। তবে বুধবার থেকে শুক্রবার দুপুর, এই সময়কালে কোনও সরকার ছিল না ঝাড়খণ্ডে।

চম্পাই সোরেন সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপালের কাছে দরবারও করেন। বিধায়ক কেনা, অপারেশন লোটাস সহ একাধিক বিষয়ে জল্পনা শুরু হওয়ায় সমর্থনের বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেন তিনি। শেষে বৃহস্পতিবার রাতে আমন্ত্রণ আসে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে চম্পইকে। সোরেন-জোটের প্রথম ‘ভয়’ এই সময়সীমা নিয়ে। কারণ, ১০ দিনের মধ্যে বিধায়ক ‘কেনাবেচা’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অতীতে এমন উদাহরণ বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ‘জাদুসংখ্যা’ ৪১। শাসক জোটের হাতে রয়েছে ৪৮ জন বিধায়ক। জেএমএম ২৯, কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। এর মধ্যে হেমন্ত গ্রেফতার হওয়ায় তিনি বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। বর্তমানে চম্পইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি চার জনের দেখা পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসুর ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। অতীতে উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল, কর্নাটক কিংবা মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘বিধায়ক কেনাবেচা’র অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার দুপুর ১২টার কিছু পর সে রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চম্পাই সোরেন। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ৪১। শাসক জোটের হাতে রয়েছে ৪৭ জন বিধায়ক। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ২৯। কংগ্রেস ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। হেমন্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারবেন না। বর্তমানে চম্পাইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। বাকি চারজন বিধায়ক কোথায়, সে প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি জোট। অন্য দিকে, বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ বিধায়ক। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫, আজসুর ৩, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে চম্পাই সোরেনকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বিধানসভায়। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here