দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার কলকাতার স্প্রিং ক্লাবে, ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ এপার বাংলা-ওপার বাংলাকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সীমারেখা আমাদেরকে বিভেদ করে দিলেও, বা কাঁটাতারের বেড়া একে অপরের থেকে আলাদা করে দিলেও, আমাদের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, আবেগ, উচ্ছ্বাস, ভালবাসা বিভক্ত করতে পারেনি। আমরা দুই বাংলার মানুষই বাঙালি। একই ভাষায় কথা বলি, একই ভাষায় গান গাই, একই পাখির কলতান শুনি। কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে আসলে মনে হয় আমার হারিয়ে যাওয়া ভাইকে খুঁজে পেয়েছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের মাধ্যমে দুই দেশের গণমাধ্যমের মধ্যে শুধু নৈকট্য বাড়বে তা নয়, দুই দেশের মানুষের মধ্যেও নৈকট্য আরও সুদৃঢ় হবে।’ এর পাশাপাশি তিনি ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। 

‘সীমানা পেরিয়ে আমরা বাঙালি’ শিরোনামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, ‘আমাদের যোগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নের জোয়ারে এখন কোথাও কুঁড়েঘর ও পায়ে চলার মেঠো পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন আর সকাল বেলায় কোন মানুষের কণ্ঠে শোনা যায় না, মাগো আমাকে একটু বাসি ভাত দাও। এখন দেশে অভুক্ত মানুষ নেই বললেই চলে। এগুলো এখন আর কোনও স্বপ্ন নয়, এটাই বাস্তব।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিশ্বের সকল উন্নত দেশের জন্য উদাহরণ। সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে যখন সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক স্থবিরতা তখনও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবার জানা। করোনাকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তালিকায় বাংলাদেশ প্রথম ৩টি দেশের একটি।’ 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী শ্রী রথীন ঘোষ, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সারোয়ার কমল, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কিংশুক চক্রবর্তী ও সম্পাদক শুভজিৎ পুততুন্ড। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here