সৃজিতা শীল, কলকাতা: DESHER SAMAY:

রাতপোহালেই শক্তির আরাধনা। সেজে উঠেছে দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠ, কামাখ্যা থেকে কালীঘাট। বনেদি থেকে বারোয়ারি, শেষলগ্নে কালীপুজোর প্রস্তুতি।

Indian Traditional Jewellery

আলোয় সেজে উঠেছে বাংলা সহ গোটা দেশ৷
দক্ষিণেশ্বরে আছেন মা ভবতারিণী। ১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে রামকৃষ্ণদেবের সাধনাস্থলে পরিণত হয় দক্ষিণেশ্বর মন্দির।


শ্রীরামকৃষ্ণের পথেই দক্ষিণেশ্বরে দীপান্বিতা অমাবস্যায় আরাধনা হয় মা ভবতারিণীর । দেখুন ভিডিও

দীপান্বিতা অমাবস্যায় কালী পুজো উপলক্ষে বিশেষ আরাধনা করা হয় মায়ের। অমানিশায় মায়ের আরাধনা চাক্ষুস করার জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন ভক্তরা। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন মন্দিরে। যাঁরা আসতে পারেন না তাঁরা দূর থেকেই টেলিভিশনের পর্দায় দেখেন মাকে।

ভোর থেকে মন্দির ভক্ত সমাগম শুরু হয়। পুজো শেষের পর মায়ের ভোগ ভক্তদের হাতে হাতে দেওয়া হয়।
দক্ষিনেশ্বরের কালীপুজোয় বলিপ্রথা বন্ধ। চার প্রহরে মা ভবতারিণীর পুজো হয়। রাজ বেশে সাজানো হয় ভবতারিণী মাকে। অন্যান্য দিনের মতো বেনারসি পরানো হলেও দীপান্বিতা উৎসবের সাজ হয় আরও উজ্জ্বল। পরানো হয় সোনার অলঙ্কার। সোনার বাউটি, বালা, তাবিজ, বাজু, গলায় চিক, মুক্তোর সাতনর মালা, বত্রিশনর, তারাহার, সোনার মুণ্ডমালা। মাথায় মুকুট। কানে কানবালা, কানপাশা, ঝুমকো। নাকে নোলক ও নথ। এছাড়াও অন্যান্য বহু অলঙ্কারে সুসজ্জিত হন মা।
শ্যামা সঙ্গীত ও শঙ্খর ধ্বনিতে গমগম করে চারিদিক এবং এক অসামান্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here