দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শামিকে বুকে টেনে নিলেন, মেন ইন ব্লুর মনোবল বাড়ালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত থেকেও সোনালি ট্রফির স্বপ্নপূরণ হল না ভারতের। ইয়েলোব্রিগেড যখন সেলিব্রেশনে মত্ত, তখন ভারতের ড্রেসিংরুমে থমথমে পরিবেশ। বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তিনি বিশ্বজয়ী অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেন। তার পরই তিনি পৌঁছে যান ভারতীয় টিমের ড্রেসিংরুমে।

জিতেগা, জিতেগা… ইন্ডিয়া জিতেগা… দেশবাসীর মুখে মুখে এই গানের কলি শোনা যাচ্ছিল রবিবার। আর সোমবার? ছবিটা এক্কেবারে বদলে গিয়েছে।

ভারতের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ভারতীয় টিমের অন্দরে এখনও বিষাদের সুর। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বজয়ের সুযোগ ছিল রোহিত শর্মার ভারতের। টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত থেকেও সোনালি ট্রফির স্বপ্নপূরণ হল না ভারতের। ইয়েলোব্রিগেড যখন সেলিব্রেশনে মত্ত ছিল, তখন ভারতের ড্রেসিংরুমে থমথমে পরিবেশ। বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বিশ্বজয়ী অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দেন। তার পরই তিনি পৌঁছে যান ভারতীয় টিমের ড্রেসিংরুমে।

যে সময় মেন ইন ব্লুর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল, ঠিক সেই সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদী পৌঁছে যান টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমের অন্দরে। সেখানে কখনও বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেটশিকারি বোলার মহম্মদ শামিকে বুকে টেনে নেন মোদী। আবার কখনও ভারতের ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়ানের জন্য পেপটকও দেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় তারকা পেসার মহম্মদ শামি দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি শেয়ার করেছেন। এবং সেই পোস্টের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গতকাল দিনটা আসলে আমাদের ছিল না। আমি সকল ভারতীয়কে ধন্যবাদ দেবো পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আমার ও আমাদের দলের পাশে থাকার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেভাবে ড্রেসিংরুমে এসে আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ালেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা ঠিক ঘুরে দাঁড়াব।’

মহম্মদ শামির পাশাপাশি টিম ইন্ডিয়ার তারকা অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজাও সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে মোদীর ভারতীয় ড্রেসিংরুমে আসার ছবি শেয়ার করেছেন। ক্যাপশনে জাডেজা লিখেছেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আমরা ভালো পারফর্ম করেছি। কিন্তু গতকাল শেষটা ভালো করতে পারিনি। আমাদের সকলের হৃদয় ভারাক্রান্ত। কিন্তু সকলের সমর্থনে আমরা এগিয়ে যাব। গতকাল আমাদের ড্রেসিংরুমে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।’

বিশ্বকাপ ফাইনালের চিত্রনাট্য তৈরি ছিল। ম্যাচের আগে মোতেরার আকাশে ভারতীয় বায়ুসেনার ‘সূর্যকিরণ’ দলের প্রদর্শনী। দুই ইনিংসের মাঝে নামীদামি বলিউডি গায়কদের গান, আতশবাজি আর লেজ়ারের ঝলকানি। শেষ প্রহরে তাঁর আগমন এবং বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া। কারও কোনও সন্দেহ ছিল না যে, ভারতই ট্রফি নিয়ে যাবে। গোটা দেশ তো বটেই, তাঁরও নয়। তাঁর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে তাঁরই সামনে ট্রফি নিয়ে যাবে অন্য দেশ, এমনটা আবার হয় নাকি!

আগামী বছর লোকসভা ভোট। যে ভোটে তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্বের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবেন তিনি। তার আগে তাঁর কাছে ‘তুরুপের তাস’ ছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এশিয়াডে ১০০ পদক আনার লক্ষ্য সফল। সঙ্গে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণ। দেশের মাটিতে আয়োজিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য। সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির উদ্দেশে কড়া বার্তা রাখার সুযোগ। তাঁর শাসনাধীন ভারত ক্রিকেটদুনিয়া শাসন করলে অবিসংবাদিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হত নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর। প্রশাসক হিসেবে তিনি আরও বেশ কয়েক কদম এগিয়ে যেতেন লোকসভা ভোটের আগে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here