দেশের সময়, বনগাঁ:শেষবেলায় পুজোর কেনাকাটা আর আগেভাগে ঠাকুর দেখা— এই দুইয়ের চক্করে তৃতীয়ার সকালে বনগাঁ শহরের একাংশে গাড়ি চলাচল কার্যত থমকে গিয়েছিল। যে দিকে চোখ যায় শুধুই জনজোয়ার। উমার বোধনের আগেই ভিড়ের এ হেন অবতারে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনকেও। নাকাল হতে হয়েছে ঘরমুখী আমজনতাকে। এমন নাজেহাল পরিস্থিতি এড়াতে তৃতীয়ায় দুপুরের পর থেকেই পদক্ষেপ করছে পুলিশ। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে রাস্তায় যাতে গাড়ির চাকা গড়ায়, সে দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিড়প্রবণ এলাকায় মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশকর্মী।

তবে শুধু ঠাকুর দেখার জন্যই যে ভিড় বাড়ছে, তা কিন্তু নয়। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতেও ভিড় জমাচ্ছেন বহু মানুষ। পুজোর শেষ রবিবারে বাটা মোড় এবং অভিযানসংঘ ক্লাব চত্বরে জনস্রোত নেমেছিল। সন্ধ্যার পর ওই এলাকাগুলিতে গাড়ির চাকা গড়ানোই মুশকিল হয়েছিল। ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। দ্বিতীয়ার সন্ধ্যার পরও সেই একই হাল ছিল শহরের। যানজট হয় যশোর রোড , চাকদা রোডে ৷

তৃতীয়ার সকালে শহরে যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে দুপুর গড়ালে আবার ভোগান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কায় অনেকেই। পঞ্জিকা মতে উমার বোধন ষষ্ঠীতে। কিন্তু তার আগেই যে ভাবে ভিড়ে বোধন শুরু হয়েছে, তা সামলাতে নাভিশ্বাস হতে হচ্ছে আমজনতাকে। এখনও পুজোর ছুটি শুরু হয়নি। ফলে বিকেলের পর অফিসফেরতদের ভিড় থাকে। সেই সঙ্গে পুজোর কেনাকাটা এবং ঠাকুর দেখার ভিড়। এই তিন ভিড় সামলে শহরের রাজপথকে ছন্দে ফেরানোই এখন চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের।

পুর প্রধান গোপাল শেঠ বলেন, পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলর এবং অন্যান্য কর্মী সহ পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন ৷ যাতে পথ চলতি মানুষের যাতায়াতের জন্য কোন অসুবিধা না হয় ৷ সেই সঙ্গে তিনি শারদীয়ার শুভেচ্ছাবার্তা দেন সাধারণ মানুষের জ্ন্য ৷ দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here