শ্রাবণী হালদার , গোবরডাঙা : উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গায় ‘নকশা’ গোষ্ঠীর প্রযোজনায় ১৭ জুলাই গোবরডাঙা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মঞ্চস্থ হল রবীন্দ্রনাথের “রাজা” নাটকের অবলম্বনে “রাজার খোঁজে”। নির্দেশনায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার বিভাগের অধ্যাপক শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়।

‘নকশা’ মন্ডলীর প্রশিক্ষনে এক বছরের একটি আবাসিক থিয়েটার কোর্স চলে। তাতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে থিয়েটার অনুরাগী ছেলে মেয়েরা আসেন এই শিখন মাধ্যম কে আত্মস্থ করতে। যারা গোবরডাঙ্গাতে আবাসিকভাবে থেকেই কাজটি করেন, তার মধ্যে জম্মু , আসাম, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত থেকে শিক্ষার্থী হিসেবে রয়েছেন অনেকেই ৷

৪০ মিনিটের নাটকে বাহ্যিক রূপ – যৌনতা এবং অভ্যন্তরীণ অন্তর্দৃষ্টি প্রধান লক্ষ্য করা যায়। আমরা চক্ষু থাকতেও চাক্ষুষ্মান নই। নাটকের সবাই রাজা কে খোঁজে, কিন্তু রাজা বারংবার বলেন আমাকে খুঁজতে যেও না অন্তরের রূপে আসল। রবীন্দ্রনাথ নিজেই বহিরঙ্গের সৌন্দর্যকে মাকাল ফল হিসেবে তুলনা করেছেন।

নাটকের যে ১০ জন শিক্ষার্থী অভিনয় করেছেন তাদের প্রত্যেকের চোখ ই বাধা। একমাত্র রাজা ব্যতীত। অভিনেতাদের চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় ওই ৪০ মিনিট ধরে স্টেজে তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে কর্ম দক্ষতার প্রদর্শন দিয়েছেন।

পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের একটি ইন্দ্রিয় নিষ্ক্রিয় থাকলে যে, অন্যান্য ইন্দ্রিয় গুলি আরো বেশি সতেজ হয়ে ওঠে এই ভাবনাই অভিনেতারা যে কর্মদক্ষতা দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে, এবং তার সঙ্গে নকশার কর্নধার আশিস দাস-এর থিয়েটার জগতে অবদান ও প্রনম্য। তার চিন্তাধারা ও গঠন শৈলী নতুন প্রজন্মকে সার্বিকভাবে থিয়েটার কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here