দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলিতেই বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। আর তা নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেও। এমন অবস্থায় সংবাদমাধ্যমের একাংশে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল বেসরকারি ডিএলএড শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করার পথে হাঁটতে পারে পর্ষদ।

ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে। ওই সব বেসরকারি কলেজে পড়া পড়ুয়াদের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়ায়। বৃহস্পতিবার পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, এই তথ্য ভুল।

পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিএলএড কলেজগুলির অনুমোদন বাতিল করার কোনও সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে নেওয়া হয়নি। পর্ষদের জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যদিও কোনও ডিএলএড কলেজের বিরুদ্ধে বিধি ভাঙার বা কোনও বেনিয়ম করার অভিযোগ আসে, তাহলে ওই অনুমোদিত কলেজের অনুমোদন পুনর্নবীকরণ করা হবে কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

উল্লেখ্য, ডিএলএড কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য অফলাইনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এর আগেও উঠে এসেছে। মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। জানা গিয়েছে, যাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কলেজে নাম নথিভুক্ত করতে পারত না, তাঁদের থেকেও অফলাইনে টাকা নিয়ে ভর্তি করানো হত। এমন বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে ডিএলএড কলেজগুলির ক্ষেত্রে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পর্ষদ।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, হোম সেন্টারের বদলে রাজ্যের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি কলেজগুলিতে ডিএলএড পরীক্ষা নেওয়ার। এদিকে সম্প্রতি আবার ডিএলএড পরীক্ষার সময়েও প্রশ্নফাঁসের বিতর্কে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। আর এরই মধ্যে এবার ডিএলএড শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির অনুমোদন বাতিল করার খবর ছড়িয়ে পড়তেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। আর সেই বিতর্কের মুখেই এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিজেদের অবস্থান জানাল পর্ষদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here