দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ জাওয়াদ কত দূর, বাংলায় আতঙ্কই বা কতটা, পরিষ্কার করে .জানাল হাওয়া অফিস৷ ফনী, বুলবুল, আমফান, তারপর কিছুটা যশ—পরপর দুর্যোগ বাংলার মানুষকে ঝড়, ঘূর্নিঝড়ের নামেই আতঙ্কগ্রস্ত করে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই জাওয়াদ নিয়েও সেই উৎকণ্ঠা রয়েছে। কিন্তু শনিবার বিকেলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল, আতঙ্কের অবকাশ নেই। কারণ বাংলায় যখন জাওয়াদ ঢুকবে তখন তা আর ঘূর্ণিঝর থাকবে না। পুরীতে যখন ল্যান্ডফল হবে তখনও জাওয়াদ খুব একটা শক্তিশালী থাকবে না।

এক কথায় বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’-এর আছড়ে পড়়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, আতঙ্কেরও কোনও কারণ নেই। শনিবার বিকেলে এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘জওয়াদ’ বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ছ’ঘণ্টায় সেটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
শুক্রবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, এর পর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূল বরাবর সরে আগামী ৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার, দুপুর-বিকেল নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে ‘জওয়াদ’।

শনিবার সন্ধ্যায় দেখা গেল, ওই পথেই এগোচ্ছে সে। হাওয়া অফিস জানায়, রবিবার দুুপুরে পুরী পৌঁছে ‘জওয়াদ’ ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর ধীরে ধীরে বাংলার উপকূলে ঢুকবে।

কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই ‘জওয়াদ’-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।
তবে উপকূলবর্তী এলাকায় বাতাসের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘণীভূত হওয়ার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষিপ্ত থেকে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে কলকাতায়। শনিবার হাল্কা বৃষ্টি হয়েওছে। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এখন কোথায় জাওয়াদ?
শনিবার বিকেলে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে জাওয়াদ। পুরী থেকে ৩০০ কিলোমিটার  দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। আগামী ছ’ঘণ্টায় উত্তর দিকে মুখ করে এগোবে জাওয়াদ।

তারপর উত্তর ও উত্তর-পূর্বে অবিমুখ হবে জাওয়াদের। গতিপথ সামন্য বদলের ফলে ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে অতি গভীর নিম্নচাপের আকার নেবে। পাঁচ তারিখ দুপুরে পুরীতে মৃদু ঝাপটা দিয়ে ল্যান্ড ফল হবে। তারপর তা উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে ধেয়ে যাবে। এর ফলে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। ৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত যার জের থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here