দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ চন্দ্রযান-৩ সফল। মহাকাশ বিজ্ঞানে বুধবার ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে ভারত। ইসরোর হাত ধরে ভারতই প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে। সেই সঙ্গে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান অবতরণকারী চতুর্থ দেশ হিসাবে (রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পরেই) উঠে এসেছে ১৪০ কোটির এই দেশ। সাফল্য উদ্‌যাপনের মাঝে ইসরোর লক্ষ্য কিন্তু স্থির। এ বার তাদের পাখির চোখ ‘চন্দ্রযান-৪’।

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ মিশন সফলও হওয়ার পর এবার চন্দ্রযান-৪ তৈরির পালা। আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্য নিয়ে অদূর ভবিষ্যতেই মহাকাশে পাড়ি জমাবে ইসরোর চন্দ্রযান-৪। শুরু হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনাও। চন্দ্রযান-৩-এ ডিজাইনও হবে অনন্য। আগের থেকে বেশি শক্তিশালী প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে, জানিয়েছেন ইসরোর এক কর্মকর্তা।

২০২৩ সালের আগস্টে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণের পর ইসরো এবার চাঁদের মাটি আনার পরিকল্পনা করছে চন্দ্রযান-৪ মিশনের মাধ্যমে।

ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ শনিবার GSLV-F14/INSAT-3DS উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণের পর বলেন, মহাকাশ সংস্থা চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পরে ভবিষ্যতে চন্দ্রযান-৪, ৫, ৬ এবং ৭ পাঠাতে চায়।

সোমনাথ বলেন, ‘চন্দ্রযান-৪ মহাকাশযানে কী কী থাকা উচিত তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। চন্দ্রযান-৪-এর মাধ্যমে যাতে চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে আনা যায় সেই বিষয়টিতে নজর দেওয়া হচ্ছে। আলোচনাও চলছে সেইসব নিয়ে। তবে চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে আনার বিষয়টি অত্যন্ত জটিল। অন্য়ান্য় মিশনের তুলনায় কঠিন।’ মহাকাশ বিভাগের সচবি জানিয়েছেন, ‘চন্দ্রযান -৪ মিশনের জন্য একটি উচ্চ স্তরের প্রযুক্তি তৈরি করবেন। আমরা এই মিশনটি সম্পন্ন করতে উচ্চ প্রযুক্তির সাহায্য নেব। সরকারের অনুমোদনের পরই আমরা এ বিষয়ে সকলকে এই বিষয়ে জানাব।’ 

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পরবর্তী প্রজন্মের আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী উপগ্রহ INSAT-3DS-এর সফল উৎক্ষেপণের জন্য ISRO বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘এই স্যাটেলাইট আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিষেবাগুলিতে আরও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে যা নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে অত্যন্ত কার্যকর হবে। এটি স্থল এবং সমুদ্রের পৃষ্ঠের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে তথ্য প্রদান করবে।’

শাহ ‘এক্স’ একটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘তৃতীয় প্রজন্মের সরঞ্জাম ভারতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংকল্পকে উপলব্ধি করার দিকে এটি একটি বড় পদক্ষেপ যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের ঘটনা ঘটবে না।’ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর কথায়, ‘এই স্যাটেলাইট আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরও উন্নত করবে।’

ফি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিশ্ব উষ্ণায়ণের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পৃথিবীর ভারসাম্য। ঘটছে দাবানলের ঘটনা। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা রুখতে ও আগাম সঠিক তথ্য পেতেই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে INSAT-3DS-কে। INSAT-3DS স্যাটেলাইট হল তৃতীয় প্রজন্মের আবহাওয়া সংক্রান্ত উপগ্রহের একটি ফলো-আপ মিশন যা জিওস্টেশনারি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। ই স্যাটেলাইটের ওজন ২,২৭৪ কেজি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here