দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ একুশের ভোটে বাংলায় সরকার গড়ার স্বপ্ন ধাক্কা খাওয়ার পর তথাগত রায়ের মতো প্রবীণ বিজেপি নেতারা প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের মতো বাংলার পালস না বোঝা নেতাদের জন্যই এই দশা হয়েছে। ভোটের পর থেকে সেভাবে বাংলামুখো হতে দেখা যায়নি ইন্দোরের নেতাটিকে। তবুও বাংলা বিজেপির দায়িত্বে খাতায় কলমে ছিলেন কৈলাসই। বুধবার তাঁকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাছাড়া করল বিজেপি ।
দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন যোগী রাজ্যের সংগঠন সামলানো সুনীল বনসলকে বাংলা বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হল। সেইসঙ্গে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওড়িশা ও তেলেঙ্গানার। ঘটনাচক্রে এই তিনটিই অবিজেপি শাসিত রাজ্য।
অনেকের মতে, বিজেপি হয়তো একটা ব্যাপার বুঝতে পেরেছে, এই রাজ্যে এমন কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে যাঁর সম্যক ধারণা রয়েছে। সুনীল বনসলের পৈতৃক বাড়ি দুর্গাপুরে। তবে দীর্ঘদিন তিনি সঙ্ঘের কাজের জন্য বাইরে বাইরে থাকতেন। আরএসএসের প্রচারক ছিলেন সুনীল। অনেকের বক্তব্য, বাংলা যোগের কারণেই এই নেতাকে সুকান্ত, শুভেন্দুদের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হল।
কৈলাস খাতায় কলমে দায়িত্বে থাকলেও দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের দূত হিসেবে যা কিছু করার করতেন অমিত মালব্য। যদিও তাঁর অধিকাংশটাই টুইট কেন্দ্রিক বলে মত বিজেপিরই অনেকের। ফলে মাঠে ময়দানের আন্দোলন, বুথ স্তরের সংগঠন ইত্যাদি ক্লাসিকাল সাংগঠনিক বিষয়গুলো যে উপেক্ষিত থাকছিল তা নজর এড়ায়নি অমিত শাহদের। বাংলায় যখন রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা চলছে, সেই মাহেন্দ্রক্ষণেই পর্যবেক্ষক বদল করে ফেলল বিজেপি।