হীয়া রায় হাবড়া: পলাশের বন এলোমেলো করে পাগল হাওয়া যেন হারানো-প্রাপ্তি-নিরুদ্দেশ! সে হাওয়া পাগল করে দিয়েছে কবিকেও। শ্রীজাত-র কলমে তাই পাওয়া যায় পলাশ-শিমুল-গুলালের ঘ্রাণ। বসন্তের মন-কেমন সকালে শ্রীজাত তাই লিখতে পারেন, ‘ইচ্ছে তো হয় হঠাৎ করে জড়িয়ে খুব ধরি/আকস্মিকের বায়না তোমার সতত সঞ্চরী,…’ দেখুন ভিডিও

পাতা ঝরে গিয়ে ফের কোনও এক বসন্ত সকালে পাতা বিহীন গাছগুলোতে দেখা দেয় কুঁড়ি,তারপর ফুলে ফুলে পূর্ণ হয় গাছগুলো। প্রকৃতি ও জানান দিচ্ছে বসন্ত এসে গেছে… !

দোলের আগেই শুরু হয়ে যায় বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি। হাবড়া লোকনাথ বিএড কলেজ সেজে ওঠে শান্তিনিকেতনের আদলে৷উৎসবের দিন কুড়ি আগে থেকেই শুরু হয় কলেজ -ছাত্র-ছাত্রীদের নৃত্য-সংঙ্গীতের মহড়া। 

এবার অষ্টম বছরে পা দিল লোক নাথ বিএড কলেজের ব্সন্ত উৎসব। বৃহস্পতিবার বসন্তোৎসবের টানে প্রতি বছরের মতো অসংখ্য মানুষ ভীড় করেন কলেজ প্রাঙ্গণে৷ অনেকেই সময়ের অভাবে যেতে পারেন না শান্তিনিকেতনে তাঁদের কাছে এই কলেজপ্রাঙ্গন হয়ে ওঠে শান্তিনিকেতন৷ এমনটাই জানালেন  অধ্যাপিকা অনিন্দিতা ব্যানার্জি ।

কলেজের ছাত্র – ছাত্রীরা বসন্তোৎসবের সকালে মঞ্চের অনুষ্ঠানে ‘‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও গো এবার…’’ গান এর সাথে আবির ছড়িয়ে রঙিন করে তুলেছিলেন লোকনাথের আঙিনা৷, এমন একটা জায়গায় বসন্তোৎসব দেখতে এবং উপভোগ করতে এসে স্থানীয় মানুষজন ‘শুভ বসন্তোৎসব’ বলে আবিরে রাঙিয়ে দেন একে অপরকে।

বসন্তোৎসবের সকালে হলুদ শাড়ি পরার রীতি রয়েছে এখানে।

সেই ১৯৩১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল…’’ গানের সঙ্গে মন দুলে ওঠে। এদিন সকালে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক কুমারেশ মজুমদার।

অধ্যাপিকা অঙ্গনা ভট্টাচার্য -র পরিচালনায় সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন ছিল চোখে পড়ার মতো । অনুষ্ঠান শেষে কিছুক্ষণ আবির খেলে নিয়েই পড়ুয়ারা তাঁদের অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের পায়ে আবির স্পর্শ করেন।

এদিন বসন্ত উৎসবে উপস্থিত ছিলেন  প্রদীপ বিশ্বাস  (সভাপতি) সহ সংস্কৃতি মনভাবাপন্ন অসংখ্য মানুষ৷

ছবি গুলিতুলেছেন দেবানন্দ পাইন I

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here