দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড এবং তার আগে পরপর কাউন্সিলর খুন নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য় রাজনীতি। বিরোধীরা বারংবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এইবার খোদ লোকসভায় রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারকে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধে দাবি করেছেন, “বিরোধী নেতাদের খুন করে বিজেপি কোনও রাজ্য চালায় না।” তিনি এদিন বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে এই খোঁচা দিয়েছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তিনি বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন এই উদ্ধৃতির মাধ্যমে।

বাংলায় বর্তমান হিংসার পরিস্থিতি এবং বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর হিংসার ঘটনার ইঙ্গিত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “হ্যাঁ, আমরা (বিজেপি) আমাদের আদর্শ, কর্মক্ষমতা এবং কর্মসূচির ভিত্তিতে সব জায়গায় নির্বাচন লড়তে চাই।

এমনকি তৃণমূল গোয়ায় গিয়েছিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। কিন্তু আমরা বিরোধী নেতাদের হত্যা এবং নারীদের ধর্ষণ করে কোনো রাজ্য শাসন করতে চাই না।”

উল্লেখ্য, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। এই ঘটনার আঁচ রাজ্য বিধানসভায় পর্যন্ত পৌঁছেছে। লোকসভাতেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার পরের দিনই সংসদে এই হত্যাকান্ড নিয়ে বক্তব্য় রাখেন। এবং কেন্দ্রকে সংবিধানের বিশেষ ধারা কার্যকর করার দাবি জানান।

তৃণমূলের পাশাপাশি এ দিন কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে আনেন শাহ৷ তাঁর দাবি, ভয় থেকেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধি জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কোনও নির্বাচনের মুখোমুখি হতে ভয় পাই না৷ কিন্তু কীভাবে ভয় পেয়ে গিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল, সেই ইতিহাসও আমাদের জানা৷’

অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপ-এর উত্থানকেও যে বিজেপি ভয় পাচ্ছে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শাহ৷ পঞ্জাবে ক্ষমতায় এসেছে আপ৷ কিন্তু অমিত শাহ দাবি করেন, ‘উত্তর প্রদেশের সব আসনে আপ-এর জামানত জব্দ হয়েছে৷ উত্তরাখণ্ডেও সব আসনে হেরেছে তারা, মণিপুরে তো ভোটেই লড়েনি৷ গোয়াতেও হারের মুখ দেখেছে আপ৷’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here