দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ দু’ দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন অমিত শাহ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে বিএসএফ–এর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। কলকাতায় বেশ কিছু সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। এর পর শিলিগুড়িতে জনসভা রয়েছে তাঁর। সেসবের মাঝেই কথা ছিল তিনবিঘায় শহিদ বেদীতে সম্মান প্রদান। কিন্তু সেই সফরের আগে যা হল, তাতে অস্বস্তিতে বিজেপি।
কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অনেক। কিন্তু তা পূরণ করেনি। বছরের পর বছর কেটেছে। তবু চাকরি পায়নি তারা। কোনও সুযোগ–সুবিধাও পায়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছিল। এবার শহিদ বেদীতে অমিত শাহর মাল্যদান নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলল ছিটমহল থেকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে আসা মানুষজন।
ছিটমহল ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁরা তিনবিঘার শহিদ বেদীতে মালা দিতে দেবেন না।
সেখানকার মানুষদের কর্মসংস্থান হয়নি। এমনটাই অভিযোগ মেখলিগঞ্জের মানুষজনের। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার আসছেন জেনেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। মেখলিগঞ্জের তিন বিঘা করিডরে শহিদ বেদি ঘিরে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। মুখে কালো কাপড়, গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা।
১৯৮১ সালে শহিদ হন সুধীর রায় এবং ১৯৯২ সালে শহিদ হন ক্ষিতেন অধিকারী ও জিতেন রায়। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শহিদদের পরিবারের লোকজন এখনও চাকরি পাননি। তাই শহিদ বেদীতে অমিত শাহর মাল্যদান বয়কট করলেন তাঁরা। তিন বিঘা আন্দোলনের শহিদ সুধীর রায়ের ছেলে ভূপেন রায় বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কোনও কাজ করেনি।
তাই ‘মিথ্যে শ্রদ্ধা’ দেখিয়ে মাল্যদান তাঁরা করতে দেবেন না। বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভার দাবি, শোকের কারণেই এসব কথা বলছে পরিবারগুলো। বিজেপি বরাবর তাদের পাশে। বরং বাম এবং তৃণমূল কোনও দিন কিছু করেনি ওঁদের জন্য। তৃণমূল আবার বলেছে, পরিবারগুলো যা করেছে, তা ঠিক।